রাজু দে : ভারতবর্ষের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আস্থা অর্থাৎ বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র বিভিন্ন ভাবে জনপ্রিয় হয়।
তার মধ্যে কিছু কিছু তীর্থক্ষেত্র আছে যেগুলো প্রচারে কম আসায় জনপ্রিয় কম হয়, তা বলে সেইসব তীর্থক্ষেত্র গুলোর গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়।
স্থানীয় ভাবে সেগুলোর জনপ্রিয়তা অনেক বেশী।
এইরকমই এমন এক মন্দিরের খোঁজ মিলল করিমগঞ্জের শনবিল কালীবাড়ী থেকে কিছু দূরে অবস্থিত গান্ধীনগর গ্রামে।
পাহাড়, জঙ্গল, টিলায় ঘেরা এক দীর্ঘ উচু টিলায় এই জাগ্রত গণেশ মন্দির অবস্থিত। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতি মনোরম।
স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস, এই গণেশ মন্দিরে অতি শীঘ্র ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। প্রতি বছর সরস্বতী পূজার আগের দিন, গণেশ চতুর্থীর দিন খুব ধুমধাম করে গণেশ বাবার পূজা করা হয়।
দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তরা আসেন।
কিছু কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে বসেন, স্থানীয় লোকেরা তখন গণেশ মেলা নামকরণ করে আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকে।
কিন্তু গণেশ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার সুবন্দোবস্ত না থাকায় খুব অসুবিধার সন্মুখে পড়তে হয় মন্দিরে আসা দর্শনার্থীদের।
এই গণেশ মন্দিরে একটি প্রকাণ্ড গণেশ শিলা রয়েছে। স্থানিয়রা জানান প্রায় ষাট বছর আগে প্রাকৃতিক ভাবে পাহাড়ের নীচ থেকে আবির্ভাব হয় এই শিলার। বহুলোক স্বপ্নাদেশও পেয়েছে। স্থানীয় লোকেরা মন্দির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন।