নয়াদিল্লি : বুধবার মণিপুরে সহিংসতা নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যে লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন সংশোধন সহ ছয়টি বিল পেশ করা হয়।
কাগজপত্র দেওয়ার পরপরই স্পিকার ওম বিড়লা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংশোধনী বিল, ২০২৩ চালু করতে বলেন।
কংগ্রেসের মণীশ তেওয়ারি বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করে দাবি করেছিলেন যে এটি করার জন্য হাউসের আইন প্রণয়নের যোগ্যতা নেই।
তিনি বলেন, এই পরিমাপ গোপনীয়তার অধিকার এবং ক্ষমতা পৃথকীকরণের লঙ্ঘন করে।পরে কণ্ঠভোটে বিলটি উত্থাপন করা হয়।
হাউস এদিন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে যায়, পড়ে মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের স্লোগানের মধ্যে আরও পাঁচটি বিল পেশ করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ সংশোধন বিল, ২০২৩ পেশ করলে বিরোধীদের আপত্তি ছাড়াই বিলটি ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে পাশ হয়।
তবে ন্যাশনাল কনফারেন্সের হাসনাইন মাসুদি পুনর্গঠন আইনকে একটি সাংবিধানিকভাবে সন্দেহজনক আইন বলে দাবি করে এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে বিষয়টি বিচারাধীন। তিনি বলেন, একটি আইন সংশোধন করা সাংবিধানিক বৈধতার পরিপন্থী যা বিচার বিভাগীয় যাচাই-বাছাই করে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার এবং অর্জুন মুন্ডা পরে যথাক্রমে সংবিধান জম্মু ও কাশ্মীর তফসিলি জাতি সংশোধন বিল, ২০২৩ এবং সংবিধান জম্মু ও কাশ্মীর তফসিলি উপজাতি সংশোধন বিল, ২০২৩ পেশ করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী খনি ও খনিজ উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংশোধনী বিল, ২০২৩ পেশ করেন।
কিন্তু এই বিল প্রবর্তনের বিরোধিতা করে বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দলের এন কে প্রেমচন্দ্রন বলেছিলেন যে এটি ফেডারেলিজমের নীতির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, এটি পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে।
সংশোধনী বিলের ফলে বহুজাতিক সংস্থাগুলো উপকৃত হবে। যোশি বলেছেন, খনি ও খনিজ আইন সংশোধনের বিষয়ে সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নিয়ে কোনো আপত্তি তোলা যাবে না।