দুল্লভছড়া জিপিতে তদন্ত দাবী!
সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া : সরকার জনগনের উন্নয়নে রাস্তা, পানীয় জল, স্কুলগৃহ সহ বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও আমলা এবং জনপ্রতিনিধিরা আত্মসাত করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠছেন।
অনেক জায়গায় রাস্তার কাজে শুধু তথ্য ফলক লাগিয়েই হাফিস করা হচ্ছে জনগনের অর্থ।
এমনই অভিযোগ উঠেছে করিমগঞ্জ জেলার দুল্লভছড়া খন্ড উন্নয়নের অন্তর্গত দুল্লভছড়া জিপির ৬ নং ওয়ার্ডের মোকামছড়ায়।
ভুক্তভোগী জনগণের অভিযোগ যে বিভাগীয় সরকারি কর্মীদের দায়িত্ব হীনতার কারনে জিপির প্রায় সবকটি ওয়ার্ডের উন্নয়নের অর্থ লোপাট হচ্ছে।
উক্ত জিপির জগনারায়ন গোয়ালার বাড়ি থেকে মোকামছড়া ফুটবল ময়দান হয়ে গ্রামীন প্রধান সড়ক পযর্ন্ত এমজিএনরেগা প্রকল্পে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি অঙ্গনয়াড়ীর ছাত্রছাত্রী সহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
কাজটির দায়িত্বে ছিলেন এপি সদস্যা রুপা হরিজনের স্বামী গোপাল হরিজন, কিন্তু গাইড লাইন উপেক্ষা করে কাজের নামে জেসিবির মাধ্যমে রাস্তার ঘাস পরিস্কার করে পুরো অর্থই হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, ঘাস সাফাই করতে জেসিবি ব্যবহার করে জনগণের চলাচলের রাস্তার উপরের একমাত্র কালভাটটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
যার ফলস্বরপ গ্রামবাসীকে এখন বাসের সাকোঁ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে।
বর্ষার বৃষ্টির জল জমে রাস্তাটি প্লাবিত হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদেরকে বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে, শুধু তাই নয় এলাকার জনগণকেও চলাচল করতে গিয়ে নানান দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে।
দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আমলাদের কারণেই সরকারের সাবকা সাথ, সবকা বিকাশ নীতি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে উক্ত ওয়ার্ডের কাশীনাথ বাবা স্থানের বাউন্ডারি ওয়ালের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও আজ পর্যন্ত তা সম্পন্ন করা হয়নি। গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের কাছে তদন্তের মাধ্যমে উক্ত রাস্তার অর্থ আত্মসাৎ কারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।