হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : দূর্নীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বক্রিহাওর জিপি, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারের কর্মচারীদের সহযোগে চলছে এই অবাধে লুণ্ঠন।
এভাবেই গুরত্বর অভিযোগ এনে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে দূর্নীতি পরায়ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী এলাকাবাসীর।
জিপির দশম খন্ডে রাস্তা নির্মাণ করে দিতে জেলা শাসক, বিধায়ক সহ মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
বক্রিহাওরের কয়েকজন দালাল ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা গোটা জিপিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
লুণ্ঠনরাজের এই বাদশাহী দেখে জিপির কোনায় কোনায় গর্জে উঠছেন সাধারন মানুষ।
বিশেষ করে বক্রিহাওর জিপির এপি সদস্যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন আম জনতা। তাদের অভিযোগ এপি সদস্যার সমস্ত কিছু দেখাশোনা করেন তার স্বামী সালেহ আহমেদ।
সালেহ আহমেদকে দূর্নীতির নায়কের সঙ্গে তুলনা করে গর্জে উঠছেন জিপির জনসাধারণ।
হাতে গোনা কয়েকদিন আগে বক্রিহাওর ষষ্ট খন্ডে একটি রাস্তা নির্মাণেও ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ এনে প্রতীবাদ সাব্যস্থ করেন গ্রামবাসী।
এর পর সালেহ আহমেদ ফোন করে তাদেরকে মামলার ধমক দেন।
আজ আবারও বক্রিহাওর দশম খন্ডে সালেহ আহমেদ সহ অন্যান্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দূর্নীতির বিরূদ্ধে সরব হন এলাকাবাসী।
বাবুরবাজার-চিপরসাঙ্গণ পূর্ত সড়ক থেকে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রায় আধা কিলোমিটার নৌকা দিয়ে গ্রামের ভিতরে নিয়ে যান এলাকাবাসী।
শুধু তাদের দুঃখ দুর্দশা জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য।
এদিন আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন তাদের ব্যক্তিগত ফিসারীর বাঁধে সরকারি স্কিম ধরে কাজ না করে অর্ধেকের থেকেও বেশি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
অথচ তিনি জানেনি না যে তার ফিশারির বাঁধ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ চলছে। একই অভিযোগ এনেছেন এলাকার নাগরিক নাজিম উদ্দিনও।
এদিন তারা আরও দুটি কার্লবার্ট দেখিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ করে বলেন কয়েকটি ইট বালি পাথর দিয়ে টাকা উধাও করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনো ফলক লাগানো হয়নি।

এছাড়াও একটি রাস্তায় দুই তিনবার করে স্কীম ধরে কোনো কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনেন গ্রামবাসী।
তারা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন স্বাধীণতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বক্রিহাওর দশম খণ্ড থেকে একটি সাইকেল চড়ে রাস্তায় উঠার ভাগ্য হয়নি তাদের।
কষ্ট করে কাঁদায় লণ্ডভণ্ড খেয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে পড়ুয়ারা, রোগিদের আজও কাঁধে পিঠে করে হাসপাতালে নিতে হয় তাদের।
এদিকে নাজিম উদ্দিন জানান গত সোমবার গ্রামবাসী কয়েকজন জেলা পরিষদ সিইওর দ্বারস্ত হলে তিনি খুব শীঘ্রই বক্রিহাওর দশম খন্ডে পঞ্চায়েতের কাজে দূর্নীতির সঠিক তদন্ত করবেন বলে আশ্বাস দেন।
তিনি জানান মোট চারবার তারা সিইওর দ্বারস্থ হয়েছেন এবং প্রতিবারই তিনি আশ্বাসই দিয়ে আসছেন কিন্তু আজ পর্যন্ত তদন্ত এমনকি গ্রামের রাস্তাও হয়নি।
গ্রামবাসীরা জানান আলগাপুরের বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী তাদেরকে পঞ্চায়েত বিভাগের কাজ দিয়ে উন্নয়ণ করে দেখাবেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সেটা বাস্তবে রূপ নিতে দেখা গেছে। এক রাস্তায় দুই তিনবার স্কিম ধরা হয়েছে।
তবে একটিও কাজ সম্পূর্ন হয়নি। তাই কোন কাজে তথ্যফলক লাগানো নেই।
নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মন্নাফ, শাকিল হুসেন, সুনাহর আলী, কুটির আলী, জসীম উদ্দিনরা মাধ্যমে বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরীরকে তার প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
বলেন, বিধায়ক সাহেব পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দুর্নীতি দেখে নিন। আপনি দয়া করে একবার আমাদের গ্রামে অসেন। ইঞ্জিনিয়ার ও বিভাগীয় অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে সঠিক তদন্ত করে আমাদের রাস্তা নির্মাণ করে দিন।