জুলি দাস,
করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জে যেখানেসেখানে চলছে অবৈধ তির ব্যবসার রমরমা। ব্যস্ততম এবং সবচেয়ে পুরোনো ছন্তরবাজারেও দিব্যি চলে আসছে এই অবৈধ তিরের ব্যবসা।
পুলিশ মধ্যে মধ্যে অভিযান চালায় ঠিকই, তবে ফের একাংশের মদতে এগুলি চলতে থাকে। এ নিয়ে ভুগতে হয় বাজারে আসা জনগণকে, বিশেষ করে মহিলাদের।
তবে শুক্রবার অভিযানে নেমে এক যুবককে আটক করে পুলিশ, তার নাম স্বপন দে। তার কাছ থেকে নগদ সতেরো হাজার টাকা, তির খেলার সামগ্রী এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ।
তির খেলার আড্ডা থেকে তাকে আটক করে সদর থানার পুলিশ। টিএসআই জ্যোতিপ্রসাদ দাস সাদা পোশাকে তিরের টিকিট কিনে জালে পুরেন অভিযুক্তকে।
সামগ্রী বিক্রি করার আড়ালে তিরের টিকিট বিক্রি করছিলেন অভিযুক্ত।
এদিন সন্ধ্যার পর আচমকা অভিযান চালানো হয়। অবৈধ এই ব্যবসার সঙ্গে আর কারা জড়িত, সেটা স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রশাসনের সব কঠোরতাকে পরোয়া না করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে তিরের অবৈধ রমরমা ব্যবসা।
তিরের ব্যবসার মাধ্যমে অনেক টাকার মালিক শহরের একাংশ, এতে পকেট খালি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
অবৈধ তির ব্যবসার বিরুদ্ধে সম্প্রতি শহরের একাংশ জনগন পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
ছন্তরবাজার ছাড়াও শহরের এক কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে এই তিরের ব্যবসার সিণ্ডিকেট চালানো হয় বলে অভিযোগ।
ছন্তরবাজারে প্রতিদিন চলে কয়েক লক্ষ টাকার অবৈধ তিরের বিক্রীবাট্টা।
শ্রমজীবী জনগণ তো রয়েছেন, এর উপর একাংশ স্কুল শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কলেজ ছাত্র অবৈধ এই তিরের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
এদিকে, তির খেলে সর্বস্বান্ত হয়ে চুরি, অপকর্মেও লিপ্ত হচ্ছে অনেকে।
অন্যদিকে, বেকারদের তিরের মুনাফার লোভ দেখিয়ে একাংশ অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন। গ্রামাঞ্চল থেকে একাধিক এজেন্ট শহরে এসে তিরের এজেণ্টের কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
গ্রামাঞ্চলেও প্রসারিত অবৈধ তির ব্যবসা।
সুপ্রাকান্দি বাজারে অবৈধ তির ব্যবসা চলার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, নতুন টিএসআই দায়িত্ব নেওয়ার পর ছন্তরবাজারে অভিযান চালানোয় প্রশংসা করেছেন ভুক্তভোগী জনগণ।