ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ : কাছাড় জেলায় বেসরকারি খাদ্য সরবরাহ বিভাগের একের পর এক খাদ্য সরবরাহ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে।
মধুরার চারটি বেসরকারি খাদ্য সরবরাহ বিভাগের “ন্যায্য মুল্যের” দোকানের দুর্নীতির তথ্য গণআওয়াজ-এ তুলে ধরার পর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ““ন্যায্য মুল্যের” দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।
এমন অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুর বিধানসভার বন তারাপুর এবং সোনাই বিধানসভার বাদ্রিপার জিপি থেকেও।
দুই বিধানসভার দুটি জিপির জনসাধারণ জানিয়েছে, ডিলাররা মাথা পিছু হাফ কিলো থেকে এক কিলো পর্যন্ত চাল কেটে নিচ্ছে এবং প্রতি কিলো আটা ১৫ টাকা করে নিচ্ছে যা সরকারী মূল্যের অনেক বেশী।
গ্রাহকরা প্রতীবাদ করলে ডিলাররা গ্রাহকদের সরাসরি কো-অপারেটিভ এবং বেসরকারি খাদ্য সরবরাহ বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট-এর নির্দেশ বলে জানিয়ে দিচ্ছেন।
এছাড়াও ডিলাররা নতুন কার্ড বানিয়ে দেওয়ার নামে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়া এবং কারো নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ৪ থেকে পাঁচ শত টাকা আদায় করছে।
এব্যাপারে বিভাগীয় আধিকারিকদের জানিয়েও কোন কাজ হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ যে এই দুর্নীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে বিভাগীয় আধিকারিকরাও জড়িত রয়েছেন।
নতুবা ডিলারা এভাবে করার সাহস পেতনা এবং অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হত।
জনসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বচ্চ সরকারের প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলাম।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস থেকে বিজেপি সরকারের সময়ে আরও বেশী দুর্নীতি হচ্ছে।
এদিকে ন্যায্য মূল্যের দোকানের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে কাছাড় দুর্নীতি নিবারক এনজিও।
এনজিও-র সম্পাদক অনিল দাস গণআওয়াজকে জানিয়েছেন যে অবিলম্বে যদি এই দুর্নীতি বন্ধ না হয় তাহলে জেলা জুড়ে বৃহত্বর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। প্রয়োজনে অফিস গেরাও করা হবে।