মোস্তাফা এ মজুমদার, হাইলাকান্দি : বরাক- ব্রম্মপুত্রের বিভিন্ন স্থানে বিগত কিছু দিন থেকে কংগ্রেস এবং এআইইউডিফের সভা সমিতি এবং পদযাত্রা চলছে।
কিন্তু উভয় দলের এসব অনুষ্ঠানে শুধু মাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেখতে পাওয়া যায়।
সংখ্যাগুরুদের উপস্থিতি থাকে একেবারে নঘন্য, যা মিডিয়ায় প্রকাশ হচ্ছে।
শুধু মাত্র সংখ্যালঘুরাই কি এই দুই দলের মূল পুঁজি? আজ হাইলাকান্দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন ছুঁড়েন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্যিক আহ্বায়ক বুরহান উদ্দিন বড়ভূইয়া।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সমগ্র দেশে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে সমান চোখে দেখছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, পিএম কৃষাণ প্রকল্প এবং অরুনোদয় প্রকল্প সহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের সুবিধা উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ উপভোগ করছেন।
বিজেপির মধ্যে জাতিভেদ নেই, এজন্যই চব্বিশের নির্বাচনে ৪০০-এর অধিক আসনে জয়লাভ করে পুনরায় তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদীজী।
বিজেপির উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম দেখে রাহুল গান্ধীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
চব্বিশের নির্বাচনের পর কংগ্রেস দলকে খোঁজে পাওয়া মুশকিল হবে, কারণ বর্তমানে কংগ্রেসের পায়ের নিচে মাটি নেই।
শুধু মাত্র সংখ্যালঘুদের উপর নির্ভর করে কি দল চলবে।
এদিকে এআইইউডিফ দল প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বুরহান উদ্দিন বড়ভূইয়া বলেন, এআইইউডিফ দলের সুপ্রিমো মওলানা বদর উদ্দিন আজমল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
আজমলের মাথায় যথেষ্ট ব্যবসায়ীক জ্ঞান রয়েছে। তিনি আগর বেপার করে এখন আদম বেপার করছেন। হাইলাকান্দির মানুষ বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছর ধরে আজমলের দলে ভোট দিয়ে আসছেন।
পঞ্চায়েত প্রতিনিধি থেকে শুরু করে এই দলের বিধায়ক সাংসদ পর্যন্ত নির্বাচিত করেছেন, কিন্তু আজমল হাইলাকান্দিবাসীদের জন্য কি করলেন?
শুধু মাত্র হাইলাকান্দির মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আজমল।
বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় আয়নাখালে প্রকাশ্য সভায় বদর উদ্দিন আজমল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হাইলাকান্দিতে তিনি একটি উন্নত মানের হাসপাতাল এবং কলেজ নির্মাণ করবেন।
কিন্তু আজ কোথায় কলেজ এবং হাসপাতাল? সংখ্যালঘু সহজ সরল মানুষের সঙ্গে আজমল আর কত প্রতারণা করবেন।
চব্বিশে সমগ্র অসমে বদর উদ্দিন আজমলের এআইইউডিফ দলের জানাজা হবে। মানুষ জানাজা করে এআইইউডিফ দলকে চিরতরে বিদায় জানাবেন বলে মন্তব্য করেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য আহ্বায়ক বুরহান উদ্দিন বড়ভূইয়া।