সাংসদ কৃপানাথ মালাহ মাথায় কুলো নিয়ে গেলেন ছট ঘাটে
শ্যামল আচার্য : অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ছট পূজো অনুষ্ঠিত হল রাতাবাড়ির বিভিন্ন এলাকায়।
দেশ দেশান্তরের সাথে সঙ্গতি রেখে রাতাবাড়ির হিন্দিভাষী বলয় ছট পূজোকে কেন্দ্র করে উৎসব মূখর হয়ে উঠেন।
রংপুর চেরাগী, নিভিয়া, মাগুরাছড়া, গম্ভীরা, কেকড়াগুল, সিংলাছড়া, লালছড়া, ফানাই, মোকামছড়া, দামছড়া, বিদ্যানগর, চরগোলা এলাকায় সিংলা নদীর তীরে এবং অন্যান্য জলপ্রবাহের পাশে প্রায় তিনশতাধিক পূজো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ পূজোর তৃতীয় দিনে ঢাক ঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে পূজোর ফল প্রসাদ নৈবেদ্যের কুলো মাথায় নিয়ে ব্রতীরা বিভিন্ন ছট ঘাটে অস্তগামী সূর্য দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন।
দীর্ধ ৩৬ ঘন্টা নির্জলা উপবাসী ব্রতীরা আগামীকাল ভোর তিনটেয় নদীর কোমর জলে দাঁড়িয়ে সূর্য দেবের উদয়ের অপেক্ষা করবেন।
উদীয়মান সূর্য দেবতাকে ব্রতীরা অর্ঘ্য নিবেদন করে উপবাস ভঙ্গ করবেন।
আজ করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালাহও পরিবারের সদস্যদের সাথে মাথায় ফল প্রসাদের কুলো নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যানগর থেকে চান্দিঘাট ছট ঘাটে গিয়ে সূর্য উপাসনা করেন।
সূর্য উপাসনার পর সাংসদ মালা ছট মায়ের কাছে নিজ লোকসভা কেন্দ্র সহ রাজ্য ও দেশবাসীর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এই পূজোকে ঘিরে ফানাই জগ বাবা ছট ঘাটে ছট ভজন সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়েছে।
এক কথায় ছট পূজাকে ঘিরে রাতাবাড়ির হিন্দিভাষী এলাকা এবার মিনি বিহার ও উত্তর প্রদেশের রূপ ধারণ করেছে। রাতাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক বিজয় মালাকার ও সবাইকে ছট পূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।