ব্যুরো রিপোর্ট : ছত্তিশগড়ের বাস্তারের আদিবাসীরা আজও জল, জঙ্গল ও জমিনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বামা কোহরামির মধ্যবয়সী বিধবা স্ত্রী শামলু ছোট বাচ্চাদের জীবন নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
কোহরামি এ বছর জুলাই মাসে ছত্তিশগড়ের বাস্তারে নকশাল অধ্যুষিত বিজাপুর কেশকুতুল গ্রামে তার হারিয়ে যাওয়া গরুর সন্ধানে গিয়েছিলেন।
কিন্তু পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বলা হয়, সে একজন মাওবাদী।
কিন্তু স্থানীয়রা বলছে, কোহরামি একজন কৃষক ছিলেন।
কোহরামির বিধবা স্ত্রী, তার সন্তানদের যাতে মিথ্যা মাওবাদী সাজিয়ে হত্যা করা না হয় এরজন্য সরকার এবং স্থানীয় নেতাদের কাছে ক্ষতিপূরণ ও লিখিত আশ্বাস দাবি করেন।
কিন্তু তাকে নির্বাচনের পর এব্যাপারে লিখিত গ্রান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তাই তিনি বুঝতে পারেন সরকার এবং নেতাদের কাছ থেকে ভাওতা ছাড়া আর কিছুই জোটবেনা।
কোহরামির বিধবা স্ত্রী নিজের সন্তানদের নিয়ে আশংকায় দিন কাটছে। একই অবস্থা তার গ্রামের বাসিন্দাদের।
মাওবাদী বেল্টের অংশ এই গ্রামের মানুষ নির্বাচনের সময়েও অবহেলিত বোধ করছে।
উল্লেখ্য, বাস্তার যেখানে প্রতিটি নির্বাচন সাধারণত নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যেই হয়।
কিন্তু এবার এই “সংবেদনশীল” এলাকায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া দান্তেওয়াড়ার মতো কিছু জেলায় ভোটের শতাংশও বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজাপুরে এবার সর্বনিম্ন ভোট রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এই অঞ্চলের নিরস্ত্র আদিবাসীদের মধ্যে প্রায় দুই বছর ধরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের একটি অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ দেখা গেছে৷