নয়াদিল্লী : বরাকের জ্বলন্ত সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের বঞ্চনা নয়াদিল্লীর প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাস্ট্রমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে পৃথকিকরণের দাবীতে সরব হল বিডিএফ।
বিডিএফ-এর এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর নয়া দিল্লীর দপ্তরে পৌঁছে পৃথকিকরণের দাবীতে স্মারকপত্রও তুলে দিয়েছেন।
রাজ্য সরকারের কাছে বারবার দাবী এবং প্রতিবাদী কর্মসূচি পালনের পরও কোন ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় বরাক পৃথকীকরণের দিকেই এগোচ্ছে বিডিএফ।
স্মারকপত্র দেওয়ার পর বিডিএফ-এর আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অবহেলিত এক জনপদের সমস্যা কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করতেই তাঁদের এই পদক্ষেপ।
আসামের বাঙালি জনগোষ্ঠী ও বাংলা ভাষার উপর সরকারি অবজ্ঞা, অবহেলার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বরাক পৃথকীকরণের দাবি জানিয়েছে বিডিএফ।
বিডিএফ আসামের বাঙালিদের যে সব সমস্যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছে তারমধ্যে রয়েছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে বাঙালি হিন্দুদের বন্দি করা, বরাকের চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা, কাগজকল সহ বরাকের বিভিন্ন শিল্পদ্যোগকে বন্ধ করে বরাকের উনয়নকে ইচ্ছাকৃত স্তব্ধ করা।
এছাড়াও শিলচর সৌরাস্ট্র মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন না করা, মাল্টি মডেল লজিস্টিক পার্কের কাজ শুরু না হওয়া, বরাকে হাইকোর্টের শাখা স্থাপনের ব্যাপারে সরকারি অনীহা, বরাকের পর্যটনের উন্নয়নে অবহেলা, চন্দ্রনাথপূর লঙ্কা বিকল্প রেলপথ তৈরিতে অনীহা ইত্যাদি।
জয়দীপ আরো জানিয়েছে, আগামীকাল প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বরাক পৃথকীকরণ এবং পূর্বাচল রাজ্যের দাবি-সাপেক্ষে যুক্তি দেশবাসির কাছে তুলে ধরবেন।
প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে, বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়, হৃষীকেশ দে, খাইদেম কান্ত সিং, আকমল হোসেন বরভূইয়া, নির্মল বর্মন, যুবফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত, মিনহাজ উদ্দিন লস্কর, প্রমোদ শ্রীবাস্তব, রাজু সিনহা প্রমুখ।