আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : এক সময়ের দুর্গ দক্ষিণ করিমগঞ্জে ক্রমশ জনপ্রিয়তা ফিকে হয়ে গেলো আজমলের।
প্রাক্তন বিধায়ক আজিজ আহমদ খানকে ডোবাতে গিয়ে দক্ষিণ করিমগঞ্জে ইউডিএফ দলকেই ডুবিয়ে দিলেন দলের এক নেতা।
শাসক দল বিজেপির মোহে পড়ে বিরোধী রাজনীতির ধারেকাছে নেই আজমলের ইউডিএফ!
শনিবার আজমলের দক্ষিণ করিমগঞ্জ সফর প্রমাণ করে দিয়েছে দল অস্তীত্বহীন হয়ে পড়েছে সংখ্যালঘুদের ত্রাতা হিসাবে আত্বপ্রকাশ করা ইউডিএফ।
বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ড০ কে এম বাহারুল ইসলাম ৯০০০ ভোট পেয়েছিলেন, এবার সেই পুঁজি নিয়ে তিনি স্বপ্ন দেখছেন দিল্লির!
কিন্ত দিল্লি যে কত দূর তা আগামী পঞ্চায়েত বা লোকসভার ভোটে ঠের পাবে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট তথা আজমলের ইউডিএফ।
নিলামবাজারে নাগরিক অধিকার মঞ্চের কার্যালয় মঙ্গলবার নাগরিক সভা থেকে এটা এক প্রকার স্পষ্ট।
সভায় আইনজীবী জাকির হোসেন, আঙ্গুরা জিপির এপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন, সমাজসেবী রুহুল আমিন চৌধুরী, উনুর সিদ্দিকী, ফারুক আহমেদ চৌধুরী, জইনুল হকরা বলেছেন, আজমলের সফর ঘিরে নিলামবাজার লোকে লোকারণ্যে পরিনত হত।
কিন্তু শনিবারের ইউডিএফের সভায় স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত নগণ্য।
সভায় ভিড় জমাতে টাকার খরচ করে প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে গাড়ি করে লোক আনা হয়েছে।
এরপরও আজমলের বক্তব্য চলাকালে সভাস্তলের পিছনের চেয়ার ফাকা ছিল।
আজমল অবশ্য এসব বুঝেও না বুঝার ভান করে চিরাচরিত ঢঙে মাইক নিয়ে মাত্র দশ থেকে বারো মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান।
এদিকে সভার শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হন করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ইণ্ডিয়া জোটের টিকিট প্রত্যাশী ড০ ছলমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বদর উদ্দিন আজমল নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছেন।
হিমন্ত বিশ্ব তাঁর আগরের ব্যব্যসায় ছাড় দিয়ে গরিব কৃষকের সুপারির উপর বিভিন্ন ধরনের নিয়মকানুন ধার্য করেছেন।
জনগণ এখন সব বুঝতে পেরেছে। তাই মানুষ ইণ্ডিয়া জোটের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দাবী করেন সলমন।