অনলাইন ডেক্স, গণআওয়াজ : শনিবার ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতিবেশী দেশ থেকে বিএসএফ কর্মীদের উপর অপরাধী হামলা কমাতে যৌথ প্রচেষ্টা সম্মত হয়েছে।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে দ্বি-বার্ষিক ডিজি পর্যায়ের আলোচনা যৌথ রেকর্ড স্বাক্ষরের মধ্যে ঢাকায় শেষ হয়েছে।
ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত আলোচনার ৫৪তম সংস্করণের জন্য বিএসএফের ডিজি নিতিন আগরওয়ালের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সফর করে।
বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বিএসএফ-এর এক মুখপাত্র দিল্লিতে বলেছেন, বৈঠকে দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব দীর্ঘস্থায়ী এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করে এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যান।
বাংলাদেশ-ভিত্তিক আন্তঃসীমান্ত দুর্বৃত্তরা বিএসএফ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষই গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত টহল বৃদ্ধি করার উপর সম্মত হয়েছে।
মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা এবং জমির আইন অনুযায়ী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সুবিধার্থেও সম্মত হয়েছে জানিয়েছেন মুখপাত্র।
মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, উভয় দেশ ছয়টি করে উন্নয়নমূলক কাজের একটি অনুমোদিত নকশা ভাগ করে নিতে সম্মত হয়েছে।
দুই বাহিনী মানব পাচারকারীদের রিয়েল-টাইম তথ্য এবং তদন্ত প্রতিবেদনগুলি অনুসরণ করতে ও ভাগ করে নিতে সম্মত হয়েছে।
অবৈধ ক্রসিং, বিভিন্ন আইটেম চোরাচালানের মতো বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে ভারত-বাংলাদেশকে তৈরি করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছে।
বিএসএফ বাংলাদেশে ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সীমান্ত অবকাঠামো সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ঐক্যমত হয়েছে।
ডিজি-পর্যায়ের সীমান্ত আলোচনা 1975 এবং 1992 সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, 1993 সালে উভয় পক্ষ নয়াদিল্লি এবং ঢাকার জাতীয় রাজধানীতে ভ্রমণ করে দ্বি-বার্ষিক করা হয়েছিল। শেষ আলোচনা 2023 সালের জুনে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়, পরবর্তী আলোচনা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এখানে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।