আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের তালা ঝোলানো কাণ্ডে বিধায়ক কমলাক্ষর হাত রয়েছে বললেন জেলা কংগ্রেসের উপ সভাপতি কবির আহমেদ।
শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার নিলামবাজারে এক প্রতিবাদী সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।
কবির বলেন, শনিবার করিমগঞ্জ কার্যালয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বিধায়ক জাকির হোসেন সিকদারের উপস্থিতিতে সভা হওয়ার কথা ছিল।
এই সভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কংগ্রেস কর্মীরা ইন্দিরা ভবনে জড়ো হয়েছিলেন।
কিন্তু সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা জানতে পারেন বিধায়ক জাকিরের সভা বাতিল করা হয়েছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হওয়া কংগ্রেস কর্মীরা।
তারা জেলা সভাপতি রজত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন এবং করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
কিন্তু কবির এই সভায় কংগ্রেস অফিসে তালা ঝোলানো বা উত্তেজনার কথা অস্বীকার করে বিরোধীরা কংরসের বিরুদ্ধে সম্পুর্ন মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে বলেন।
তার দাবী, এআইউডিএফ এবং বিজেপির কিছু লোক কংগ্রেস কার্যালয়ে তালা ঝোলিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
এসব ঘটনার পেছনে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষের হাত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতিরা সাধারণ জনগণের মতামত নিয়ে হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরীকে প্রার্থী চেয়ে পত্র দিয়েছেন।
যার ফলে আইনজীবী হাফিজ রসিদের টিকিট প্রায় নিশ্চিত, নির্বাচনে জয়ী হওয়াও শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তাই বিজেপি এবং এআইউডিএফ নেতৃত্ব জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে যা খুবই নিন্দনীয়।
আইনজীবী মমতাজ বেগম গোটা ঘটনাকে পরিকল্পিত নাটক বলে মন্তব্য করেন।
তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্তা নেওয়ার দাবি এবং লোকসভা নির্বাচনে উপযুক্ত বিচার করতে জনগণের প্রতি আহবান জানান।
এদিনের প্রতিবাদী সভায় অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য শংকর মালাকার, গান্দাই জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য আব্দুর রৌফ, আব্দুল মতিন, জাইদুল ইসলাম প্রমুখ।