জুলি দাস, করিমগঞ্জ : দীর্ঘ ৭০ বছর পর করিমগঞ্জ লোকসভা অনুসুচিত জাতী সংরক্ষণমুক্ত হলেও বিজেপি এই আসনে অনুসুচিত জাতীর একজনকে প্রার্থী করেছে।
অথচ মিশনরঞ্জন দাস এবং সুব্রত ভট্টাচার্যের মতো বিজেপি তাবড় তাবড় নেতারা প্রার্থিত্বের দাবিদার ছিলেন।
তারা প্রার্থী হলে আমার সঙ্গে লড়াই হতো, কৃপানাথ মালাহর সঙ্গে কোনো লড়াই হবে না।
এভাবেই নিজের জয় আত্মপ্রত্যয় জানালেন কংগ্রেস প্রার্থী আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী।
জেলার বিভিন্ন জায়গায় রেলি করে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর করিমগঞ্জ শহরের কংগ্রেস কার্যালয়ের পৌছার পর দলের কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দেন।
সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন মন্ডলের পদাধিকারীরা।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, দীর্ঘ ৭০ বছর করিমগঞ্জ লোকসভা আসন তপশিলি সংরক্ষণ ছিল।
এবার এই আসন সংরক্ষণমুক্ত হয়ে শিলচর সংরক্ষিত হয়েছে।
কিন্তু বিজেপি বরাকের দুটি আসনেই তপশিলি সম্প্রদায় থেকে প্রার্থী দিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি, সাধারণ সম্প্রদায়কে অসম্মান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংসদ কৃপানাথের রিপোর্ট কার্ড এত ভালো ছিল না, যে তাকেই ফের প্রার্থী করতে হবে।
এই আসনে প্রার্থী হওয়ার দাবিদার ছিলেন মিশনরঞ্জন দাস এবং সুব্রত ভট্টাচার্য। তাদের প্রার্থী করা হলে আমার সঙ্গে লড়াই হতো, কিন্তু কৃপানাথের সঙ্গে কোনো লড়াই হবে না।
উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের সমালোচনা করে হাফিজ রশিদ বলেন, ইডিকে ভয় করে বিজেপিকে সমর্থন করা মোটেই ঠিক হয়নি কমলাক্ষের।
এক সময় তার কিছুই ছিল না, কংগ্রেস পরিচয় দিয়েছে।
তিনবার বিধায়ক হয়েছেন, সর্বভারতীয়স্তরে একটা পরিচয় ছিল। কিন্তু দলের সঙ্গে প্রতারণা করে লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপির সঙ্গ দিয়েছেন।
এখন কমলাক্ষ কংগ্রেসের সমালোচনা করছেন, এটা জনগণ মেনে নেবেন না।
হাফিজ বলেন, অনেক কংগ্রেস নেতাই জেলে গেছেন, কমলাক্ষ জেলে গেলে তার আরো সম্মান বৃদ্ধি পেত।
জনগণ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালাহর সংসদের রিপোর্ট কার্ড এবং আমার কার্যপ্রণালী দেখে ভোট দেবেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণ কার্যপ্রণালী দেখেই তাঁর সঙ্গে থাকবেন এবং তাঁকে ভোট দেবেন।
সিএএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি প্রতারণা করছে।
মূল সমস্যার দিকে না গিয়ে ভোট আদায়ের জন্য রাজনৈতিকভাবে এটা করেছে বিজেপি। এর জবাব ভোটের বাক্সে মিলবে।