হাইলাকান্দি প্রতিনিধি : এবার মিড ডে মিলের চাল দুর্নীতিতে জড়ালেন ৪৩০নং কান্দিগ্ৰাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
রবিবার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় নতুন কমিটি গঠনের উদ্ধেশ্যে এক সভা।
শিক্ষাবিদ সফিকুর রহমান মজুমদারের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির সদস্য সচিব ইয়াহয়িয়া আহমদ বড়ভূইয়া বিগত কার্যকালের হিসাব দিতে ব্যর্থ হন।
দীর্ঘ সময় এনিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় এবং বিভাগীয় অফিসার সিআরসিসি-র কাছে স্পষ্টিকরন দাবী করেন অভিভাবকরা।
কিন্তু তিনিও এব্যাপারে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
অভিবাবক মহল বিগত কার্যকালের হিসাব নিকাশ জনসমক্ষে প্রকাশ না করা পর্যন্ত নতুন পরিচালনা সমিতি গঠন বন্ধ রাখার দাবীতে সরব হয়ে উঠেন।
অভিবাবক মহলের অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক সহ কমিটির সভাপতির কাছে বিগত দিনের হিসাব চাইলে তারা ব্যর্থ হন।
পরে বাধ্য হয়ে অভিবাবকদের পক্ষ থেকে তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ তথ্য চাইলে প্রধান শিক্ষক খরচ বাবদ ১২০০০ টাকা জমা করার নির্দেশ দেন।
অভিভাবকরা তাদের নির্দেশ অনুসারে বিদ্যালয়ের একাউন্টে ১২০০০ টাকা জমা দিলেও তাদেরকে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, প্রধান শিক্ষক ইয়াহয়িয়া আহমদ বড়ভূইয়ার বিরুদ্ধে মিড ডে মিল দুর্নীতির কোন তদন্ত না করে তাকে সাহারা অন্য স্কুলে বদলি হয়।
যাওয়ার সময়ও তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর মিড ডে মিলের ১ কুইন্টাল ৩৯ কেজি চাল নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
তার বদলির পর মতিউর রহমান বড়ভূইয়া নামের এক শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এনিয়ে বার বার সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠে, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া থাকায় তেমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির রূপ নেয়নি।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দুর্ণীতিগ্ৰস্ত এই প্রধান শিক্ষককে রক্ষনাবেক্ষণ দিচ্ছেন বিভাগীয় একাংশ কর্মকর্তারা।
তারা এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হুংকার দেন, দুর্নীতিগ্রস্ত এই প্রধান শিক্ষক এবং বিভাগীয় আধিকারিকদের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসবেন।
এছাড়াও, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন অভিভাবকরা।
এদিকে দীর্ঘ আলোচনার পর বিদ্যালয়ের পরিচালনা সমিতি পুনর্গঠন করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হয়েছে হাফিজ আলী আহমেদ।