কালাইন প্রতিনিধি : স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবগত না করেই আসাম মালার সড়ক নির্মাণ করতে হিলাড়া হাইস্কুল ভাঙা শুরু করায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন স্কুলের ছাত্র শিক্ষক স্কুল পরিচালন কমিটি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ মল্লিক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে বাধা দেওয়ায় চাপের মুখে পড়ে কাজের বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার সাময়িকভাবে স্কুল ভাঙ্গনের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে ঠিকাদারের লোকজন আবারও রাস্তার জন্য স্কুল ভাঙতে পারে এই আশংকায় বৃহৎ অঞ্চলের মানুষকে সাধারণ সভায় গঠন করা হয় স্কুল বাঁচাও কমিটি।
কুরকুরি, খাম্বার বাজার, বুরুঙ্গা, টিকরবুরুঙ্গ, হিলাড়া কলোনী, নারাইনছড়া, নিরাইয়া, কুরকুরি বাগান এসব এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার একমাত্র স্কুল হচ্ছে হিলাড়া হাইস্কুল।
যদি রাস্তার জন্য এই স্কুল ভেঙ্গে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা হবে এই অভিযোগ সকলের। কারণ বৃহৎ অঞ্চলে বিকল্প আর কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।
এলাকাবাসীর বলেন, আমরা আসাম মালা প্রকল্পে সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করছি না, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কোন ভাবেই স্কুল গৃহ ভাঙতে দেবনা।
শিক্ষাবিদ সমরেন্দ্র দেবের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী সভায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গলে কিভাবে গোঠা এলাকা সমস্যার সম্মুখীন হবে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ মল্লিক।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জ্যোতির্ময় পাল, সুধাংশু সরকার, আলা উদ্দিন, শামসুল ইসলাম, সীমানা রায়, মন্ত্র বালা রায় প্রমূখ।
দীর্ঘ আলোচনার পর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে বিকল্প ব্যবস্থা না করে স্কুলটি ভেঙ্গে দিলে ছাত্রছাত্রীরা সঙ্কটে পড়ার আশংকাও করা হয়।
গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জেলাশাসক, জেলার শিক্ষা বিভাগের আধিকারীক, কাটিগড়া সার্কেল অফিসারকে বিকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠা পর্যন্ত যাতে ভেঙ্গে ফেলা না হয় লিখিতভাবে জানানো হবে।
এদিন সমরেন্দ্র দেবকে সভাপতি, সুধাংশু সরকারকে উপসভাপতি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ মল্লিককে সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিতিও গঠন করা হয়।
কমিটির কর্মকর্তারা কাটিগড়ার বিধায়কের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ জানালে তিনি আশ্বাস দেন, অতিরিক্ত জেলা শাসকের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতেও সমাধান না হলে স্কুল বাঁচাও কমিটিকে নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়ে গণদাবি তুলে ধরবেন। তাতেও কাজ না হলে শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রী সহ বৃহৎ অঞ্চলের মানুষ সম্মিলিতভাবে রাজপথে নেমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলবেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।