আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : আজও কেউটকোনা জিপির থামুয়া এলাকার কয়েক শতাধিক সংখ্যালঘু ভোটার এজিপি দলে যোগদান করেছেন।
দক্ষিণ করিমগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক আজিজ আহমেদ খানের হাত ধরে তারা এজিপিতে যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিলামবাজার থামুয়ার নুরুল হকের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় এই যোগদান সভা।
প্রাক্তন বিধায়ক আজিজ খান ও এজিপির দক্ষিণ করিমগঞ্জের সভাপতি রিজু আহমেদ তালুকদারের নেতৃত্বে উচ্চ বর্ণের সংখ্যালঘু মুসলমানরা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
তাদেরকে অগপ দলের টুপি পরিয়ে বরন করেন করিমগঞ্জ লোকসভার বিজেপির প্রার্থী কৃপানাথ মালাহ, প্রাক্তন বিধায়ক আজিজ আহমেদ খান, বিজেপি নেত্রী শিপ্রা গুণ।
অগপ দলে যোগদানের পর নবাগতরা কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ-এর সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন।
দু’টি দল জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু জনগণকে ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
প্রাক্তন বিধায়ক আজিজ বলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে এনডিএ চারশোর অধিক আসনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ নীতির কারণে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সংখ্যালঘুরা।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয়জল, রাস্তাঘাট, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, অরুণোদয় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের সমান ভাগিদার হয়েছেন।
কংগ্রেস জমানায় যা কল্পনাও করা যায়নি।
এজিপি সভাপতি রিজু আহমেদ তালুকদার দক্ষিণ করিমগঞ্জের বতর্মান বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে বলেন, যারা ডুবেছে তারা অন্যকেও ডুবাতে চাইবে।
যে নিজে অন্ধ, সে আবার সুস্থদের বলছে পথ দেখাবে।
এসব সংশয়পূর্ণ মন্তব্য করে সংখ্যালঘুদের নামে ঠিকাধারী আর বন্ধ করার পরামর্শ দিতে বিধায়ক সিদ্দেককে ইঙ্গিত করে বলেন, নিজেই তো এখন দিশেহারা মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেত্রী শিপ্রা গুণ, বিক্রমাদিত্য দাস, নুরুল হক, নজরুল হক প্রমুখ।