হাইলাকান্দি প্রতিনিধ : কালবৈশাখীর ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হাইলাকান্দির বিভিন্ন এলাকা, তছনছ বহু ঘরবাড়ি। খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেছেন অনেকেই।
আলগাপুর উন্নয়ন খন্ডের অন্তর্গত পশ্চিম মোহনপুর জিপির মোহনপুর দ্বিতীয় খণ্ড গ্ৰামের আব্দুল আজিম বড়ভূইয়ার বাসগৃহও শুক্রবারের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে।
ঘটনার কয়েক দিন পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত ভেঙ্গে পড়া বাসগৃহটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি হতদরিদ্র ওই ব্যক্তির।
স্ত্রী ও অবুঝ দুই সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন আব্দুল আজিম।
তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া দুটি শিশু সন্তানের পড়াশোনাতো করা দূরের কথা, রীতিমতো খাওয়াদাওয়া এমনকি ঘুমানোর জায়গাও নেই। রবিবার পশ্চিম মোহনপুর জিপির আনোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া এবং গ্ৰামের কিছু মানুষ আব্দুল আজিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন।
তারা জানান, কালবৈশাখীর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে শুক্রবার গভীর রাতে হতদরিদ্র আব্দুল আজিমের বাসগৃহটি উড়িয়ে নিয়ে যায়।
এর পর থেকেই স্ত্রী ও দুই অবুঝ সন্তান নিয়ে অস্তিত্ব হারা হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছেন।
তাদের থাকার এবং খাবারের ব্যবস্থাও নেই।
বই, খাতা ও রেশনের চাউল সহ ঘরের ভেতরে থাকা যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী বৃষ্টির জলে ভিজে বিনষ্ট হয়ে গেছে।
আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় কোনক্রমে দিন কাটাচ্ছেন হতদরিদ্র আজিম।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে একই জায়গায় বসবাস করলেও আজ পর্যন্ত মিলেনি সরকারি কোন প্রকল্পের সুবিধা।
দেখা মিলে-নি কোন জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ সমাজসেবী আনোয়ার হোসেন বড়ভূইয়ার।
তিনি হতদরিদ্র এই পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আর্থিক সাহায্যের জন্য আলগাপুরের বিধায়ক এবং হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
একইভাবে আবেদন জানান ফয়জুর রাহমান বড়ভূইয়া, সিরাজুল হক বড়ভূইয়া, নজরুল ইসলাম বড়ভূইয়া, আফতাব উদ্দিন বড়ভূইয়া, একলাস উদ্দিন বড়ভূইয়া প্রমুখ।