জুলি দাস, করিমগঞ্জ : প্রিসাইডিং অফিসারের উপস্থিতিতে করিমগঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট দানের একটি ভাইরাল ভিডিও ব্যাপক চর্চার সৃষ্টি করেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক মৃদুল যাদব সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে স্পষ্ট করেছেন, ভাইরাল ভিডিওটি মক পোলের সময় ধারণ করা হয়েছে।
আসল ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে সিআরসি (ক্লোজ রেজাল্ট ক্লিয়ার) করা হয়।
এছাড়া জেলার কোনো ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের রিপোর্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতে পাওয়া যায়নি বলে জেলাশাসক জানান।
অতিরিক্ত আবর্ত ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এটা ছিল পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের ২৪০ নয়াডহর এলপি স্কুলের (ডান দিক) ১১ নং ভোটকেন্দ্রের।
ভিডিওতে দেখা যায়, একাংশ জনগণ বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট দান করছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর এর স্ক্রুটিনি করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন পর্যবেক্ষক, একাংশ প্রার্থী, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট। ডেকে পাঠানো হয় প্রিসাইডিং অফিসার নজমুল হক তাপাদারকে।
তাপাদার তালতলা হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান। প্রিসাইডিং অফিসার জানান, এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল মোকপোলের সময়।
পরে মূল ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ক্লোজ রেজাল্ট ক্লিয়ার (সিআরসি) করা হয়।
একই বক্তব্য দিয়েছেন ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখতে পাওয়া নির্দল প্রার্থী আব্দুল হামিদের নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল সহীদ।
জেলাশাসক বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী মোক পোলের সময় প্রার্থীর পক্ষে ভোট দান করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় নির্বাচনী এজেন্টদের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, শনিবার পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচনী এজেন্টদের উপস্থিতিতে চার ঘন্টা স্ক্রুটিনি হয়।
প্রিসাইডিং অফিসাররা কোনো ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের তথ্য দেননি। এমনকি এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষক-এর পক্ষ থেকে কোনো পুনর্নির্বাচনের কথা জানানো হয়নি। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত পুনর্নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই করিমগঞ্জে।