নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : প্রতারনার ফাঁদে এখন বরাক। অতি লোভে এই ফাঁদে ফেসেছেন অনেকেই।
আর্থিক ঋণ থেকে সরকারী চাকরী দেওয়া পর্যন্ত ফাঁদ পেতেছে প্রতারকের দল।
লোভের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। বিভিন্ন স্থানে দস্তুরমত অফিস খোলে চলছে এই প্রতারণা।
কোথাও ট্রেনিং দেওয়ার নামে খোলা হয়েছে অফিস, আবার কোথাও সরকারী ঋণ দেওয়ার নামে।
লোকঠকানোর এই ব্যবসা ঝাঁকিয়ে বসেছে শহর শিলচরেও। অবাধে মানুষকে লুণ্ঠনের এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা।
ট্রেনিং-এর পর সরকারী চাকরীর নিশ্চয়তা দিয়ে লাখ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
অনেককে সরকারী দপ্তরে চাকরীর অগ্রিম ভুয়া নিয়োগপত্রও দেওয়া হচ্ছে।
একইভাবে অফিস খোলে ঋণ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে গরীব মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে ঋণ প্রতারকরা।
কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে নীরব প্রশাসন।
প্রশাসনের চোখের সামনেই ওইসব ভুঁইফোঁড় সংস্থাগুলো অফিস খোলে শিলচর শহরে দীর্ঘ দিন থেকে চালিয়ে যাচ্ছে এমন প্রতারণা।
এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন প্রতারকরা তাহলে কি সবাইকে মেনেজ করে প্রতারনার জাল পেতেছে? নাকি প্রশাসনযন্ত্র বলে শিলচরে কোন কিছুই নেই?
এসব প্রতারকরা অফিস খোলে বসলেও তাদের কাছে বৈধ কোন নতিপত্র নেই। প্রশাসন বলে কিছু থাকলে কিভাবে এসব সম্ভব?
এদিকে বরাকে একাধিকবার নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলে গেছেন আসামে এখন আর প্রতারক বা দালালরাজ নেই, সব কিছুই সরাসরি হচ্ছে। তাহলে প্রতারকরা কার মদতে এসব ফাঁদ পেতেছে? এমনই প্রশ্ন জনমনে।