জুলি দাস করিমগঞ্জ, ৩০ অক্টোবর : দীপাবলীর রাতে নিজের বাড়িতে আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদ রোডের এক নাবালকের চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবস্থা এতই গুরুতর যে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রবিবার বিকেলে গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দীপাবলিতে শ্যামাপ্রসাদ রোডে নিজের বাড়িতে আপন মনে আতশবাজি পুড়াচ্ছিলো আকাশ দত্ত (১৩)। তখন অসাবধানতাবশত বাজি গিয়ে পড়ে তার বাম চোখে।
চিৎকার শুনে অভিভাবকরা বাইরে এসে পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে।
কিন্তু অবস্থা সংকটজনক থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আকাশকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওখানে নিয়ে যাওয়ার পর যথারীতি অপারেশন হয়।
তবে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটির শঙ্করদেব নেত্রালয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। নতুবা অন্য চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
এতে মাথায় বাজ পড়ে আকাশের পিতা মান্না দত্তের। মান্না দত্ত একজন ই-রিক্সাচালক। ই-রিক্সা চালিয়ে দৈনিক যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোনোক্রমে সংসার চলে। ফলে পুত্রকে নিয়ে বাইরে চিকিৎসা করানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শের পর ভেঙে পড়েন তিনি।
এদিকে, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার শ্যামাপ্রসাদ রোডের বাড়িতে গিয়ে আকাশ দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সুমন ধর। তিনি আকাশের চিকিৎসার জন্য মান্না দত্তের হাতে কুড়ি হাজার টাকা তুলে দেন। গুয়াহাটিতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে তাঁর বাড়িতে থাকার জন্য বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন সুমন। প্রয়োজনে আরো অর্থ সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।