নিউজ ডেক্স গণআওয়াজ : শাসক দলের কাছে আজ সাংবাদিকরাও যে সুরক্ষিত নয়, তা আবারও প্রমাণ করল আমদের গণআওয়াজ-এর কর্মরত সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বার বার ঢাকডোল পিটিয়ে দুর্নীতিমুক্তর ভাষণ দিলেও দুর্নীতির আঁচলে সেই শাসক দলের তাবড় তাবড় নেতারাই।
নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে মহিলা বাহিনীকে ঢাল বানিয়ে সাংবাদিকদের অপদস্থ করার মতো জঘন্য কাজ করতেও পিছপা হন না মুখে দুর্নীতিমুক্ত বলা এই শাসক দল।
তাদের কাছে সবকিছুই মানানসই।
তাই দিনের আলোয় লোন দেওয়ার নামে দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছে টাকা সংগ্রহ করার এক অবৈধ ব্যবসা।
কিন্তু তাদের এই ব্যবসার সঠিক নথিপত্রও আছে কিনা তা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা একজন সাংবাদিক হিসেবে তথ্য জানার অধিকারটুকুও নেই!
কারণ একটাই, তারা শাসক দলের পাণ্ডা!
আর কিছু বাড়তি বললে নিতম্বিনী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এই ভয়ে আজ অনেকই নিজের সম্মান বাঁচাতে নিশ্চুপ ভূমিকায়।
এদিকে সমাজহিতে সাংবাদিকরাও তাদের কর্তব্য পালনে একচুলও নড়তে নারাজ।
যার জলন্ত উদাহরণ সিঙ্গানিয়া ফিনটেক অ্যাগ্রিবিজিনেস কনসারটিয়াম লিমিটেড নামের এই ভুঁইফোঁড় সংস্থার রহস্য উদঘাটনে।
মিত্রজোটে যে সরকার ঘটন করা যায় তা সবাই জানেন।
কিন্তু মিত্রজোটে দুর্নীতিও করা যায় তা প্রমাণ করলেন বিজেপি-এজিপি জোটের দুই নেতা আমজাদুল হক মজুমদার এবং সিদ্দিকুর হাজারি।
তাদের নেতৃত্বে ঋণ দেওয়ার নাম করে প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অগ্রিম দুহাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বরাক থেকে কয়েক হাজার মানুষকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। অথচ আজ পর্যন্ত এক টাকাও কাউকে ঋণ দেওয়া হয়নি। এনিয়ে বরাক জুড়ে তুলফার শুরু হয়েছে।