আব্দুর রহমান, গণআওয়াজ নিলামবাজার : রাজনীতিতে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা।
নানান অভিযোগে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত এই বিধায়ক এবার লোকসভা নির্বাচনে চিরশত্রু বিজেপির ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
হয়তো ভেবেছিলেন বাকি রাজনৈতিক জীবন এই দলেই কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু এবার এই দলেও তাঁর প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে জনতার আওয়াজ এনজিও।
এনজিওর সভাপতি মানই মিয়ায় সরাসরি অভিযোগ এনেছেন, সিদ্দেক বিজেপিতে বিড়লেও কৃপানাথের পক্ষে ভোট টানতে পারেন নি।
মনাইর দাবী করিমগঞ্জ কৃপানাথ মালা জয়ী হচ্ছেন, তবে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদের কথায় মুসলমানরা ভোট দেননি।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে সংখ্যালঘু জনতা এবার উজাড় করে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।
বিশেষ করে কিরান শেখ সম্প্রদায়ের ৮০ শতাংশ, মাইমাল সম্প্রদায়ের ২৫ শতাংশ এবং তালুকদার থেকে ২০ শতাংশ ভোট বিজেপির পক্ষে পড়েছে।
হিসাব মিলিয়ে দেখলে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ভোটের ব্যবধানে দলীয় প্রার্থী কৃপানাথ জয়ী হচ্ছেন।
মানই মিয়া বলেন, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী শেখ কিরান উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং মাইমাল সমাজকে ভূমিপুত্র ঘোষণার প্রয়াস নেওয়ায় মুসলিম সমাজে প্রভাব পড়েছে।
দক্ষিণ করিমগঞ্জে অনেক বেশি মুসলিম ভোট বিজেপির পক্ষে পড়েছে বলে দাবি করেন মানই।
শুধু দক্ষিণ করিমগঞ্জ নয়, জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভালো সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোট পেয়েছেন দলীয় প্রার্থী কৃপানাথ মালা।
তাই জয় নিয়ে কোনো সংশয় নেই, কম পক্ষে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপি করিমগঞ্জ আসনে জয়ী হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
মনাই আরও বলেন, সিদ্দেক আহমেদ বিজেপিতে বিড়লেও কৃপানাথের কোনও লাভ হয়েনি।
কারণ সিদ্দেকের কথায় মুসলমানরা কৃপানাথকে ভোট দেয়নি, বরং ইকবালের কথায় সংখ্যালঘু জনতা উজাড় করে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রসিদের পক্ষে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোট পড়েছে, কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুসারে গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি সংখ্যালঘু ভোট বিজেপি পেয়েছে।
বিশেষ করে কিরান, শেখ এবং মাইমাল সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এই হিসেবে বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালার জয় নিশ্চিত, তাই তিনি প্রত্যেক ভোটারকে দলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান।