মোস্তাফা আহমেদ মজুমদার, গণআওয়াজ, হাইলাকান্দি : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কুড়ে ঘরে জীবন কাটাচ্ছে হাইলাকান্দি জেলার একাংশ পরিবার।
হাইলাকান্দি উন্নয়ন খন্ডের অন্তর্গত বোয়ালিপার জিপির ১০ নম্বর গ্ৰুপের নিতাইনগর দ্বিতীয় খণ্ডের একাধিক পরিবারে আজও পউছেনি সরকারি সুযোগ সুবিধা।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা কেউই তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোযনা, অরুণোদয় এবং সরকারি শৌচাগার সহ সরকারি সুবিধা জুটেনি তাদের কপালে।
তাদের দুর্দশার কথা জানান বোয়ালিপার জিপির ১০ নম্বর গ্ৰুপের নিতাইনগর দ্বিতীয় খণ্ড গ্ৰামের অসহায় মহিলা রুনু বেগম লস্কর।
অসহায় এই মহিলার পরিবারে দ্বিতীয় আর কেউ নেই উপার্জনকারী।
ভাঙ্গা বাস-বেতের জরাজীর্ণ ঘরে দিন কাটাচ্ছেন এই মহিলা।
অথচ অনেক পাকা ঘর থাকা পরিবারের লোকের নামে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোযনার তালিকায়।
অন্যান্য সরকারি প্রকল্পেও দালালবাজিরও অভিযোগ করেন রুনু বেগম লস্কর।
একই এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর আব্দুল লতিফ লস্কর এবং তাঁর স্ত্রীরও একই অভিযোগ রয়েছে।
বোয়ালিপার জিপির ১০ নম্বর গ্ৰুপের নিতাইনগর দ্বিতীয় খণ্ড গ্ৰামের এই দিনমজুর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী।
কিন্তু তিনিও পাননি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোযনার ঘর।
জিপি সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের দরজায় একাধিকবার গেলেও উপযুক্ত কোন সুরাহা মিলেনি বলে অভিযোগ।
আব্দুল লতিফ লস্কররের স্ত্রী বলেন, নির্বাচন আসলে রাজনৈতিক নেতারা বাড়ি বাড়ি এসে প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু নির্বাচনের পরে তাদের দেখা মিলেনি। তিনি প্রশ্ন তুলেন, পলিথিন আর সুপারী গাছের পাতার ছাউনীর ঘরের নিচে আর কতদিন থাকতে হবে?