চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লেনদেন হচ্ছে স্বীকার করলেন একাডেমীক ইনচার্জ
নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : অস্তিত্ব সংকটে দক্ষিণ কাছাড়ের স্বনামধন্য নরসিংহপুর স্বর্ণলক্ষ্মী হাইয়ার সেকেন্ডারী স্কুল।
অত্যন্ত ভালো রেজাল্ট করা এই স্কুলে ছাত্রভর্তি প্রক্রিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। এক একজন ছাত্রকে ভর্তির জন্য নেওয়া হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এসব অভিযোগের তদন্ত করতে স্কুলে যাওয়ার পর বেরিয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
স্কুলের একাডেমীক ইনচার্জ স্বপন নাথ জানিয়েছেন, সীমিত সংখ্যক সীট থাকায় এবং স্কুলের সুনামের কথা মাথায় রেখে তারা ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিলেন।
কিন্তু, একটি চক্র স্কুলের সুনাম নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ভর্তি পরীক্ষায় যেসব ছাত্র শূন্য মার্কস পেয়েছে তাদেরকেও ভর্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়।
কিন্তু তারা এতে রাজী না হওয়ায় মন্ত্রি-বিধায়ক সহ ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সুপারিশ নিয়ে এসে চাপ সৃষ্টি করা হয়।
তাই বাধ্য হয়ে সবাইকে ভর্তি করতে হচ্ছে।
ছাত্র ভর্তির নামে চার-পাঁচ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করলে জানান, তাঁর কাছেও দু’একজন এসে এমন অভিযোগ করেছেন।
তারাও নাকি টাকা দিয়েছে।
কিন্তু কে নিয়েছে এবং কাকে তারা টাকা দিয়েছে তা কেউই খুলসা করেননি। তবে তাঁর সন্দের তীর যে অফিসের দিকে তা তিনি আকারে ইঙ্গিতে বোঝা গেছে।
তাঁর অভিযোগ, প্রতিমাসের বেতনের জন্য অফিসকে পঁচাত্তর টাকা করে উৎকোচ দিতে হয়, আর না হলে সময়মত তাদের বেতন দেওয়া হয় না।
এব্যাপারে স্কুলের বড়বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বল একাডেমীক ইনচার্জের দিকে ঠেলে দেন।
তিনি বলেন, একাডেমীক ইনচার্জের অনুমোদীত ভর্তি ফরম দেখিয়ে বলেন, যাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে সব তাঁরই নির্দেশ অনুসারে হয়েছে।
বেতনের উৎকোচ নেওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বড়বাবু বলেন, শিলচর অফিসে আসা-যাওয়া করতে তাঁর প্রচুর টাকা খরচ হয়, তাই আগের প্রিন্সিপালের অনুমোদন ক্রমে নেওয়া হত।
বিগত ন’মাস থেকে খরচের কোন টাকা নেওয়া হচ্ছেনা।
এতে স্পষ্ট যে একাডেমীক এবং অফিসের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, আর তার সুযোগ নিচ্ছে মধ্যভোগী দালাল চক্র।