আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : করিমগঞ্জ মৈনার নাবালককে গাছে বেঁধে বর্বর নির্যাতনের এক অভিযুক্তকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ।
প্রায় মাস দিন আগে অভিযুক্তরা পনের বছরের এক নাবলককে গাছে বেঁধে মারপিট করে।
এই ঘটনার পর ছেলেটি মানসিক ভারসাম্য হারায় বলে অভিযোগ করেন এই নাবালকের মা দিলারা বেগম সহ স্থানীয় জনগণ।
আজ স্থানীয়রা সহ ওই ছেলেটির মা দিলারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, পাশের বাড়ির রাস্তার পাশের একটি আম গাছে আম পাড়তে গিয়েছিল তার ছেলে জাবেদ আহমদ।
সেই সময় তাঁকে আম গাছে বেঁধে তার উপর দলবদ্ধ অমানবিক নির্যাতন করা হয় এবং গাছে বেঁধে মারধর করা হয়।
এমনকি তাঁর নাবালক ছেলের মাথার চুল কেঁটে পঁচিশ ত্রিশ জন যুবক জয় শ্রীরাম ধনী দিয়ে উল্লাস করে।
খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে এসে আম গাছের মালিকের পা জড়িয়ে ধরে কাকুতি মিনতি করেন, কিন্তু তাঁতেও কোন লাভ হয়নি।
নিজের চোখের সামনে নিজের ছেলেকে বেধড়ক মারধর করতে দেখে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এমতাবস্থায় তাঁকে এবং তার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন জানান তিনি।
এব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করেও কোন সহযোগিতা পাননি জানান নির্যাতনের শিকার জাবেদের মা।
পরে তিনি বাধ্য হয়ে করিমগঞ্জ কোর্টে মামলা করেন। এরপর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু অন্যান্যদের আজ পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় তিনি বলেন, তার ছেলে তাদের বর্বর নির্যাতনে মানসিক সমস্যায় ভোগছে, অন্যদিকে অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।
ছেলেটির মা নিজের ছেলের নির্যাতনকারীদের সুবিচার চেয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েন। করিমগঞ্জের জেলা আয়ুক্ত এবং পুলিশ সুপারের কাছে তার ছেলের নির্যাতনকারীদের অতি সত্ত্বর গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান দিলারা।