চিপরসাঙ্গন-বক্রিহাওরে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে কংগ্রেসের ত্রাণ বন্টন
মোস্তফা আহমদ মজুমদার : হাইলাকান্দি জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বন্যা দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করল হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস।
বিগত কিছুদিন ধরে হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত, জলবন্দি বেশ কয়েকটি গ্ৰাম। ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণ, খাবার জল ও পশুখাদ্যের তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে আলগাপুর রাজস্ব চক্রের অন্তর্গত চিপরসাঙ্গন, বারোনামী, জানকি বাজার, ডলিডর, বক্রিহাওর, কাটাখাল ও কালিনগর এলাকা এখনও জলের তলায়।
কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি, এসব এলাকায় খাবারের অভাবে গবাদিপশুর মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক মনোজ মোহন দেবের উদ্যোগে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে নৌকা করে এসব এলাকায় পৌঁছে দেন।
জনগণের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে সরকারি কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। বিশেষ করে পলা স্লুইসগেট খোলা থাকায় প্রতিবছরই বৃহত্তর এই এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়।
এই পলা স্লুইসগেট নিয়ে স্থানীয় সাংসদ কৃপা নাথ মাল্লাহ, বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোন তৎপরতা নেই।
জলসম্পদ মন্ত্রী পিযুষ হাজারিকা বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বরাকে আসলেও পলা স্লুইসগেট নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী জনগণ।
কংগ্রেসের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি সামস উদ্দিন বড়লস্কর, সাধারণ সম্পাদক মিতুজজামান লস্কর, পারভেজ আহমদ লস্কর, মনোরঞ্জন মালাকার, শহর ব্লক কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অঙ্কন দাশ, নিরঞ্জন দাশ, দেবজ্যোতি নাথ ও জেলা কংগ্রেসের আইটি সেলের উপসভাপতি কামিল আহমদ মজুমদার প্রমুখ।
ত্রাণ বন্টনের পর জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, কংগ্রেস জনগণের দল তাই সুখে দুঃখে জনগণের পাশেই রয়েছে।
বিগত লোকসভা নির্বাচনে করিমগঞ্জ আসনে দলীয় প্রার্থী হারলেও কংগ্রেসের জনসেবা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে হাইলাকান্দি জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় মানুষ জলবন্দি, তাই জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জনগনের কাছে এসেছেন।
মনোজ বাবু বলেন, এই করুন পরিস্থিতিতে সামান্য এই ত্রাণ তাদের হাতে তুলে দিয়ে একটুও হলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস কর্মকর্তারা।
তাছাড়া কংগ্রেস নেতারা এই দূর্যোগের সময়ে অসহায় বন্যাদুর্গতদের মধ্যে পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণ, পানীয় জল ও পশুখাদ্যে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান।
সার্কল অফিসারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকাভুক্ত করে সরকারি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।