সোনাই প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : কাবুগঞ্জ থেকে নগদীরগ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে মঙ্গলবার সন্ধ্যা স্কুটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হল দুই যুবক।
অন্য একটি গাড়িকে পাস দিতে গিয়ে স্পিড ব্রেকার পার হয়ে দ্রুত গতিতে স্কুটি নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়েন ওই দুই যুবক। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হয়।
তাদেরকে কাবুগঞ্জ-কচুদরম সড়কের পাশে থেকে সংকটজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। আহতরা হলো নগদীরগ্রাম ৪র্থ খণ্ডের বাসিন্দা রৌশন হুসেন লস্কর (১৯) এবং আবজল হুসেন লস্কর (২২)।
ঘটনার খবরে পেয়ে ছুটে আসেন বাড়ির লোকজন সহ আত্মীয়স্বজনরা, খবর দেওয়া হয় ১০৮ এম্বুলেন্সে।
আহত যুবকদের নিয়ে এম্বুলেন্স সোনাই-কাবুগঞ্জ পূর্ত সড়কের ঘাড়মুরা তেমাথা অতিক্রম করতেই এম্বুলেন্সের টায়ার ফেটে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১কিলোমিটার দূরে এসে টায়ার ফেটে যাওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এম্বুলেন্সের চালক অন্য আরও একটি এম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করেন, ততক্ষণে প্রায় দু ঘন্টা সময় চলে যায়।
কিন্তু ২য় এম্বুলেন্সটি সোনাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে সেটিও নষ্ট হয়ে যায়, গতিবেগ হারিয়ে বিশ কিলোমিটার গতিতে চলে এম্বুলেন্সটি।
এছাড়া কাজিডহর পৌঁছানোর আগেই দুই দুবার বন্ধ হয়ে যায়, ধাক্কা দিয়ে চালু করতে হয়েছে।
এমতাবস্থায় আরও একটি এম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করেন এম্বুলেন্সের চালক, সোনাই মাধব চন্দ্র দাস কলেজের পাশাপাশি পৌঁছালে ৩য় এম্বুলেন্সটি চলে আসে।
আবারো স্থানান্তর করা হয় আহতদের। এরপর খুব দ্রুত গতিতে এম্বুলেন্সে করে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পৌছানো হয়।
এরমধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক, এমতাবস্থায় এম্বুলেন্সের এই দুরবস্থার জন্য এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই পুরোনো এম্বুলেন্স দিয়েই চলছে জরুরি পরিষেবা। অনেক সময় দেখা যায় এম্বুলেন্স অক্সিজেন সিস্টেম বিকল। এছাড়া প্রায় এম্বুলেন্সে এস্প্যেয়ার টায়ার ও নেই।
ফলে অনেক সময় এম্বুলেন্স চালকদেরকে বিপাকে পড়তে হয়, জনরোষে মুখে পড়েন। এদিন তাই পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাতে শিলচার মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহত রৌশন হুসেন লস্কর।