নিউজ ডেক্স গণআওয়াজ :ভয়ভীতি দেখিয়ে এক নাবালিকাকে লরি চালক ডালিম হোসেন (কবির) নামের এক নরপিচাশ একনাগাড়ে তিন বছর যৌন নির্যাত চালালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
বড়খলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এই গুরত্বর অভিযোগ উঠার পর সাধারণ মানুষের পুলিশ নামের এই বিভাগের কোন প্রয়োজন আছে কি? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানাগেছে এই নাবালিকার বাড়ী বড়খলা পুলিশ থানা এলাকায়। ২০২২ সালে এই নরপিচাশ ১৪বছরের এই নাবালিকাকে বাড়িতে ঢুকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে কিছু নগ্ন ছবি তুলে নেয়।
নাবালিকার পরিবার সঙ্গে সঙ্গে বড়খলা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে এজাহার দিলেও তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারক নতিভুক্ত না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশের এই দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নরপিচাশ লরি চালক ভয় দেখিয়ে একনাগাড়ে তিন বছর যৌন নির্যাতন চালিয়ে যায়।
পরে মেয়েটির পরিবার আবার থানায় এজাহার দিতেগেলে পুলিশ অভিযুক্তের নাম ডালিম হোসেন (কবির)-এর বদলে সৌরভ লিখে মামলা নতিভুক্ত করে।
এমনকি অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং চার্জসীট পর্যন্ত না দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে মামলা বন্ধ করে দেয় বড়খলা পুলিশ।
পুলিশের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত এপ্রিল মাসে নাবালিকা মেয়েটিকে জোরজবরদস্তি অপহরণ করে নিয়ে যায় নরপিচাশ এই লরিচালক।
মেয়েটির পরিবারের পুলিশের উপর আর ভরসা রাখতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে নাবালিকাকে বেঙ্গালোর থেকে উদ্ধার করে বড়খলা পুলিশ এবং গ্রেফতার করা হয় ওই নরপিচাশকে।
এদিকে মেয়েটি আদালতে তুলার পর জানিয়েছে ব্যাঙ্গালোর থেকে আসার পথে এক মহিলা পুলিশ তাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। এমনকি তাকে বয়ান বদলানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
তবে সে এত অত্যাচারের পর এতটাই কঠিন হয়ে পড়ে, আদালতে দাঁড়িয়ে সব কথা তুলে ধরে। মেয়েটি চায় অপরাধের শাস্তি হোক এবং পুলিশ যেন এ ধরনের মামলায় আর কাউকে নির্যাতন না করে।