হাইলাকান্দি, ১৯ জুলাই : কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টার-মিনিস্ট্রিয়াল টিম শুক্রবার হাইলাকান্দি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এর আগে জেলা আয়ুক্তের সভাকক্ষে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
এতে প্রতিনিধি দলটি জানান ক্ষয়ক্ষতির দাবি পেশের সময় সাপোর্টিং ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি দাখিল করা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম নীতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এর আগে জেলা আয়ুক্ত নিসর্গ হিভারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জেলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন।
সভায় জানানো হয় যে প্রথম দফার বন্যায় জেলার ১০৬টি গ্রামের ৪৯ হাজার২৪৯ জন লোক এবং দ্বিতীয় দফার বন্যায় ১৪ হাজার ৭৫২ জন লোক বন্যার কবলে পড়েন।
প্রথম দেখায় জেলার ৫৩০ হেক্টর জমির এবং দ্বিতীয় দফায় ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মোট ২৩৪৭জন ব্যক্তির ফসল বন্যায় নষ্ট হয়।
পূর্ত বিভাগ থেকে সভায় জানানো হয়, জেলার ৯০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক বন্যার কবলে পড়ে।
বন্যায় জেলার ১৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়।
প্রতিনিধি দল এরপর তসলা নদীর বাঁধ ভাঙ্গন এবং ওংকাই লংকাই নদীর বাঁধ ভাঙ্গন স্থল পরিদর্শন করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মিহির কুমারের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলে ছিলেন জল শক্তি মন্ত্রকের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব কুমার সুমন, কৃষি বিভাগের জুট ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ঝিন্টু দাস এবং অর্থমন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি পার্থ পাল।