স্বপন পাল, গণআওয়াজ দার্জিলিং : ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একটি নির্দিষ্ট দিনে এই ধরনের হাট বসে।
এর উদ্দেশ্য গ্রামের মানুষ যাতে এই হাট থেকে ভিন্ন রকমের সহজলভ্য জিনিসপত্র কিনেন।
এই হাটে জনসমাগম থেকে এটা স্পষ্ট, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাট কবিতাটি আজও মানুষের কাছে অতি প্রিয় এবং আকর্ষণীয়।
রবি ঠাকুর লিখেছিলেন হাট বসেছে শুক্রবারে বকশীগঞ্জের পদ্মা পাড়ে।
কিন্তু আজও এই হাটের তুলনা হয় না, তেমনি করেই দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে এবং শহরের কলা মন্দিরে এরকম হাটের আয়োজন করা হয় যার পোশাকি নাম ছিল সাপ্তাহিক গোর্খা হাট।
সারাদিন ধরে এই হার্ট চলে এবং মানুষজন এই অভিনব হাটে এসে নানা ধরনের জিনিসপত্র কেনাকাটা করে।
অনুলতা গুরুং এবং তার সহযোগীরা এই হাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি গোর্খা হাটের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে জানান, পাহাড়ের মানুষদের সংস্কৃতি তাদের খাদ্যদ্রব্য পোশাক পরিচ্ছদ এবং রুচিবোধ এই হাটের মাধ্যমে তারা বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছেন।
অর্থাৎ একটি জাতির যে তাদের সংস্কৃতি ইত্যাদি প্রকাশ করে তারা একটি জাতি। সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ হাটের অনেক পরিবর্তন হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
এই গ্রামীণ হাট বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ উল্লেখযোগ্য ক্রান্তির হাট জলপাইগুড়ি জেলায়।
এমন অনেক হাট রয়েছে যা আজও গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক রোজগারের এক দিশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাহাড়ও বাদ যায়নি, পাহাড়ের পোখরিয়াবং হাট বেশ বিখ্যাত। এছাড়া নানা হাট ছড়িয়ে রয়েছে পাহাড়ের আনাচে কানাচে।
তবে এই গোর্খা হাট পাহাড়ের একটি তাৎপর্যপূর্ণ হাট যা পাহাড়ের মানুষদের পরম্পরার ধারক হিসেবে গোর্খা হাট জাতির পরিচয় ধারক হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।
এই হাটে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকটি স্থানীয় মহিলা এবং যুবক-যুবতীরা।
ছিল স্থানীয়ভাবে তৈরি সাবান, শাকসবজি, গোর্খা খাদ্য, হাতে তৈরি জামাকাপড়।
মহিলাদের হাতে তৈরি আচার এবং নানা রকম সৌখিন অলংকার পাহাড়ে উৎপন্ন হওয়া ডাল, মিলেটস, স্যালরুটি ইত্যাদি।
তবে বেশ মজাদার হল এখানে গোর্খা খুকরি ও বিক্রি হচ্ছে সমানতালে।
গোর্খা হাটে শাক সবজি বিক্রি হচ্ছে যদিও অর্গানিক শাকসবজি বিক্রি হচ্ছে বলে হাটের বিক্রেতারা জানালেও তাদের কাছে কোন অর্গানিকের সার্টিফিকেট নেই বলেও তারা স্বীকার করেছেন। পূর্ণকলা থাপা হাটের র্উদ্দেশ্য জানান। আজ রোববার আঠাশে জুলাই কার্শিয়াং এও গোর্খা হাট বসেছিল।