ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
লক্ষীপুর ও হাইলাকান্দি প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে লক্ষীপুরেও বৃহস্পতিবার অরুণোদয় ৩.০ প্রকল্পের সূচনা হলো।
অরুণোদয় ৩.০ খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে বৃহস্পতিবার ১৯,৯২,১৬৭জন নুতন হিতাধিকারী সংযোজন প্রক্রিয়ার ভার্চুয়াল শুভারম্ভ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এরই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা সমষ্টির সঙ্গে লক্ষীপুরেও শুভারম্ভ অনুষ্টান করা হয়।
লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই, জেলা শাসক রোহন কুমার ঝা, বিজেপি কাছাড় জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, লক্ষীপুর পুরসভার সভাপতি মৃনাল কান্তি দাস, মনিপুরী ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন রিনা সিং সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিধায়ক কৌশিক বক্তব্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অরুণোদয় পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ একটাকাও দেবেন না। পুরোপুরি স্বচ্ছতা বজায় রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে হাইলাকান্দিতে অরুণোদয় তৃতীয় পর্যায়ের সুবিধাভোগী বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুইটি সচেতনতামূলক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলার প্রতিটি সমবায় সমিতি থেকে ৩৫০ জন করে সুবিধাভোগীরা অংশ নেন। হাইলাকান্দি বিধানসভার সুবিধাভোগীরা অংশ নেন এস এস কলেজের খেলার মাঠে।
আলগাপুর-কাটলিছড়া বিধানসভা চক্রের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিপারের শশীভূষণ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের মাঠে।
দুটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ভাষণ জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়। নতুন করে যারা অরুণোদয় পাবেন তাদের আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে এদিন তথ্য পুস্তিকা বিতরণ করা হয়।
এস এস কলেজের সভায় জেলা আয়ুক্ত যাদের কোন রেশন কার্ড নেই অথচ যোগ্য হিতাধিকারী, তাদেরকে কিভাবে রেশন কার্ডের আবেদন করতে হবে তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য অরুণোদয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীর জন্য দরখাস্ত করতে হলে রেশন কার্ড থাকতে হয়।
এস এস কলেজের অনুষ্ঠানে জেলা বিজেপি কর্মকর্তা স্বপন ভট্টাচার্য প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী চরণ গৌড়।
শশীভূষণ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের খেলার মাঠের অনুষ্ঠান ডিডিসি এল্ডার ফারহিনের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত হয়।
দুই বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর এবং নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অরুণোদয় প্রকল্প চালু করায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অরুণোদয় প্রকল্পের সুবিধাভোগী নির্বাচনের জন্য বিধবা, অবিবাহিত, ডিভোর্সি ও পরিত্যাক্ত মহিলা সহ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি এবং দিব্যাঙ্গরা আবেদন করতে পারবেন।
এই আবেদনের জন্য রেশন কার্ড থাকতে হবে। যাদের রেশন কার্ড নেই তাদেরকে সংশ্লিষ্ট গাঁও পঞ্চায়েত কার্যালয়, বিডিও কার্যালয় এবং শহরের ক্ষেত্রে পুরসভা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।