লক্ষীপুর, ৬ অক্টোবর: এযেন এক অপ্রত্যাশীত আজব কান্ড। স্বাভাবিক ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চুরির ঘটনা সচরাচর ঘটেনা। তাও দূর্গোৎসবের সময়ে দূর্গামন্ডপে।
যেখানে দিনরাত মানুষের আনাগোনা। শেষরাতে মাত্র কয়েক ঘন্টা বিরতি ছাড়া মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। এই চার ঘন্টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে গেল লক্ষীপুর পুলিশ থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দু নম্বর ওয়ার্ডের দূর্গাপল্লির পুজো মন্ডপে।
দূর্গাপল্লির দূর্গাপুজোর মন্ডপে মহানবমী পুজোর শেষ রাতে এই চুরি কান্ড সংঘটিত হয়েছে। পুজো কমিটির কর্তা দেবাশীষ রায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান নবমীর রাত ১ টা নাগাদ পুজো সমাপ্ত করে সবাই চলে যান।
সব ঠিকঠাক করে দায়িত্ব প্রাপ্ত দেওঘরিকে রেখে পুজো কমিটির কর্তারাও নিজনিজ বাড়ি চলে যান। ভোর চারটায় দেওঘরি ফোন করে ডাকেন।
তিনি কয়েকজনকে নিয়ে পুজো মন্ডপে আসেন। দেওঘরি তাদের কে বলেন হঠাৎ করে ঘুম এসে যায়, তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম ভাঙলে দেখেন পুজো মন্ডপের কাজে ব্যবহৃত অনেক কিছুই উধাও।
তারা খতিয়ে দেখতে গিয়ে নজরে পড়ে দুটি সিলিন্ডার, পুজোয় ব্যবহারের কাসা এবং পিতলের আসবাবপত্র কিছুই নেই, সঙ্গে ফলমূল সবই নিয়ে গেছে চুর। দূর্গামন্ডপে চুরির ঘটনায় হতবাক পুজো কমিটির কর্মকর্তা।
দেবাশীষ রায় বলেন মারাত্মক হারে বেড়েছে ড্রাগস এবং নেশা সামগ্রীর বিক্রি। যত্রতত্র বিক্রয় হচ্ছে ড্রাগস। যারফলে ড্রাগস আসক্ত লোকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ড্রাগস আসক্তরা নেশার অর্থ জোগাড় করতে এমন কান্ড করতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এই চুরির ঘটনা লক্ষীপুর থানায় জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা কুকুর দিয়ে তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। পুলিশের ভূমিকায় অখুশি সচেতন মহলের লোকজন।
এই ঘটনা ছাড়া পুজোর দিনগুলো শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে লক্ষীপুর মহকুমা এলাকায়। অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধ্যায় ঝিরঝিরে ফলে আনন্দ কিছুটা ম্লান হলেও দশমীর আবহাওয়া ছিল একেবারে অনুকূলে।
দূ্র্গাপুজোর অন্তিম দিন বিজয়া দশমী। বিজয়া দশমীর পূণ্য তিথিতে মা দূ্র্গা বিসর্জন পর্ব বুধবার বিকেল অনুমান চারটায় শুরু হয়েছে লক্ষীপুর মহকুমা এলাকায়। লক্ষীপুরের গ্রাম, শহর, চা বাগান এলাকায় একেবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মহা আনন্দে বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।