আব্দুর রহমান, গণআওয়াজ বিনোদিনী বাজার : নির্বাচনের আগেই চরম বিপাকে বিধায়ক সিদ্দেক ঘনিষ্ট বান্দরকোনা জিপির সভাপতি আব্দুল বাছিত।
দুর্নীতি এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি বা ‘দুটি নয় ৩০টি এজহার জমা পড়েছে পাথারকান্দি থানায়!
জিপির প্রাক্তন সভাপতির আব্দুল বাছিত সহ জিপি সচীব, বাস্তকার এবং জিআরএসকে অভিযুক্ত করে এই এজাহার জমা পড়েছে।
সরকারের তিন সন্তানের নীতির কোপে পড়ে জিপির সভাপতির পদ হারান সভাপতি মতিউর রহমান।
এরপর উপ নির্বাচনে দুই বছরের কার্যকালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন আব্দুল বাছিত। এই দুই বছরে জিপিতে দুই কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উপ নির্বাচনে যে ভাবে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন, ঠিক একই ভাবে দুর্নীতিতেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন।
কার্যকাল শেষ হলেও একের পর এক মামলায় পড়ে রীতিমত হেস্তন্যাস্ত অবস্থা বাছিতের। জিপির প্রতারিতরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি লড়াইর জন্য গঠন করেছেন দুর্নীতি নিমূল কমিটি।
জেলা শাসক, সিইও এবং বিডিওকে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি, তাই এবার তারা আইনি পথে হাটতে এই কমিটি গঠন করেছেন।
মসজিদ-মাদ্রাসাও এই জুটির দুর্নীতি থেকে রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন জিপির জনসাধারণ। একাধিক মসজিদের নামে টাকা অর্থ বরাদ্ধ হলেও কাজ না করেই আত্মসাত করা হয়েছে।
জিপির বাস্তকার শাহজান আহমদ বান্দরকোনার গবীরদের টাকা লুণ্ঠন করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।