গৌহাটি প্রতিনিধি : গ্রেপ্তার আট মৌলবাদীকে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল গুয়াহাটি আদালত।
আল-কায়েদার সহযোগী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এই আট সদস্যকে আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গত ১৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে।
এরপর আদালত তাদের পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে পাঠিছে।
এএনআই-এর সাথে কথা বলে আইজিপি পার্থ সারথি মহন্ত জানিয়েছেন আদালত তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ৮ জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
আসাম এসটিএফ প্রধান আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ স্যাড রাডি ওরফে শাব শেখ, বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা।
হিংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করার সে ২০২৪ সালের নভেম্বরে তাদের জঘন্য মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে এবং ভারতে সমমনা ব্যক্তিদের নিয়ে স্লিপার সেল তৈরি করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে।
মোঃ স্যাড রাডি আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের নিষিদ্ধ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের স্লিপার-সেলের কর্মীদের সাথে দেখা করতে সফর করে।
একই উদ্দেশ্যে নিয়ে কেরালায় যাওয়ার আগে এসটিএফ কেরালা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে।
মিনারুল শেখ ও মোঃ আব্বাস আলী নামের আরও দুই মৌলবাদীকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করেছে।
এছাড়া, নুর ইসলাম সহ অন্যান্যদের আসামের কোকরাঝাড় ও ধুবরি জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতরা হল আব্দুল করিম মন্ডল, মজিবর রহমান, হামিদুল ইসলাম এবং এনামুল হক।
তাদের বিরুদ্ধে এসটিএফ 61(2)/147/148/149 R/W ধারা 10/13/16/18/18B/20 UA(P) আইন 1967 এবং R/W ধারার অধীনে STF থানায় একটি FIR দায়ের করেছে।
পাসপোর্ট আইন 1967-এর 12(1)(a) এবং এর অধীনে “অপারেশন – প্রঘাট” চালু করেছে এসটিএফ।
আটক অভিযুক্তদের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত প্রমাণ সহ অপরাধমূলক নথি এবং মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভিত্তিক সংস্থাগুলির সাথে সীমান্ত জুড়ে তাদের ক্রমাগত যোগাযোগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি।
এখন পর্যন্ত যে তথ্য এসটিএফ সংগ্রহ করেছে, এই তথ্য অনুসারে আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের স্লিপার সেলগুলির উদ্দেশ্য ছিল গোপনে নাশকতামূলক ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো। যা শান্তি বিঘ্নিত করার পাশাপাশি জীবন ও সম্পত্তির ধ্বংসের পরিকল্পনা ছিল জানিয়েছেন পার্থ সারথি মহন্ত।