শিলং, ২০ জুন, সোমবার : প্রবল বৃষ্টিপাতে অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রায় সব কয়টি রাজ্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই রাজ্যগুলতে। আর এই সময়েই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এবং মৌসিনরামে। চেরাপুঞ্জি এবং মৌসিনরাম এমনিতেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়।
কিন্তু এই দু’জায়গাতে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর এবং মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত বুধবারে ১৯৯৫ সালের পরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চেরাপুঞ্জির সোহরা এলাকায়। এবং ১৯৬৬ সালের পর সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌসিনরামে। আধিকারিকরা জানান, সোহরায় একদিনে ৯১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ওই দিন চেরাপুঞ্জিতে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৮১১.৬ মিলিমিটার।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানিয়েছে, ১৯৯৫ সালের ১৬ জুন সেখানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। সেদিন চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছিল ১৫৬৩.৩ মিলিমিটার। ১৯৫৬ সালের ৫ জুন হয়েছিল ৯৭৩. ربح المال من الالعاب ৮ মিলিমিটার, ১৯৯৫ সালের ৫ জুন হয় ৯৩০ মিলিমিটার, ১৯৩৪ সালের ২১ জুন হয় ৯২৪. كازينو 888 ৬ মিলিমিটার, ১৯৭০ সালের ২৫ জুন হয় ৯০৭ মিলিমিটার, ১৯৬৬ সালের ৯ জুন হয়েছিল ৮৮২. لعبة بينجو اون لاين ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। তারপরে একদিনে এত পরিমাণ বৃষ্টি হল চেরাপুঞ্জিতে।
আধিকারিকরা জানান, বুধবার মৌসিনরাম এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭১০.৬ মিলিমিটার। সেখানে একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ৭ জুন। সেদিন বৃষ্টি হয় ৯৪৫.৪ মিলিমিটার। ১৯৬৬ সালের ১০ জুন হয়েছিল প্রায় ৭১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি। এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৫দিন অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ সহ উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে অতিভারী বৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে মেঘালয় আসামে জারি করা হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’। এই খারাপ আবাহাওয়ার জন্য মেঘালয়ের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেঘালয়েরর শিক্ষামন্ত্রী লাকমেন রিম্বুই জানান, আবহাওয়া দফতর চুড়ান্ত সতর্কতা জারি করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অসমেও অস্থায়ী ভাবে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুয়াহাটি ছাড়াও হাজো, কমলপুর, রাঙ্গিয়া এলাকাতে সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র সহ বিভিন্ন নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলেও জানানো হয়েছে।