পীযূষ হাজারিকা-ডাঃ রনোজ পেগু ছাড়া সব মন্ত্রীকে বন্যা কবলিত জেলায় ক্যাম্প করে থাকার নির্দেশ
গুয়াহাটি, ২০ জুন, সোমবার : রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী আজ জনতা ভবনে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।
কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী কিছু কমিশনারের কাজে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। তিনি কমিশনারদের কাছ থেকে জানতে চান, বন্যায় বন্যার ত্রাণ পেতে লোকেদের কী কী ক্যাম্পে থাকতে হবে।
বাজালি জেলার কমিশনারের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা আজ ৪-৫ দিন থেকে শিশুর খাবার পায়নি কেন। কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশ্ন সিডিপিওর উপর ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, নির্দেশগুলি বাস্তবায়িত হয়েছে কি না তাও গুরুত্বপূর্ণ। আজ সন্ধ্যার মধ্যে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন কমিশনারকে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য সচিব, পরিচালকদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। তবে তিনি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত বন্যা কবলিত রাজস্ব বৃত্তে একটি মেগা স্বাস্থ্য শিবির করার নির্দেশ দিয়েছেন। জল শুকিয়ে গেলে নানা রোগের আশঙ্কা থাকে, তাই মেগা হেলথ ক্যাম্প আয়োজনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্তকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে একটি এসওপি তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে বরাক উপত্যকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। কাছাড়ের ডিসিকে জিজ্ঞাসা করা হয় শিশুর খাবার ও পানীয় জলের ঘাটতি আছে কি না। না থাকলে গুয়াহাটি থেকে পাঠানো হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। করিমগঞ্জের ডিসিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিলং-করিমগঞ্জের মধ্যে সড়ক পরিষেবা ব্যাহত হলে পণ্য সরবরাহের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বারশিমলুয়া এবং নলবাড়ির অন্যান্য বন্যা কবলিত এলাকায় সেনা নৌকার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী জয়ন্ত মুল্লা বড়ুয়াকে বারশিমলুয়া এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশও দিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীকে কামরুপ ও দরং জেলায় তিনদিন থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পাটোয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে আগে হাজো তারপর দরং যাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বরাক উপত্যকার তিন জেলা শাসক এবং সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনো সহায়তার জন্য ২৪ ঘন্টা মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। সাহায্যের জন্য অর্থের অভাব নেই, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে আসামের বন্যা পরিস্থিতি প্রতিটি খবর নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পীযূষ হাজারিকা এবং ডাঃ রনোজ পেগু ছাড়া সব মন্ত্রীকে বন্যা কবলিত জেলায় ক্যাম্প করে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।