জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৩ অক্টোবর : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মন্দির আর শিক্ষকরা হচ্ছেন মন্দিরের ব্রাহ্মণ। মন্দিরে যেভাবে সমাজের মঙ্গলের জন্য পূজার্চনা করা হয়, ঠিক সেভাবে দেশ ও জাতি গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
একমাত্র শিক্ষাবিভাগ, যা অন্য কোন বিভাগের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কারণ এই বিভাগে এক মিনিটেরও মূল্য আছে। এখান থেকে বেরিয়ে কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক, কেউ আধিকারিক হচ্ছেন। নানাভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে ছাত্র-ছাত্রীরা।
করিমগঞ্জ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে আট দিনব্যাপী আচার্য-আচার্যা প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়ে এ কথাগুলি বলেন শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপুল দাস।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শিবিরের সূচনা হয়।
তিনি শিক্ষকদের এভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন। বলেন, তারা যা অর্জন করবেন তা পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন। তা ছাড়া বিদ্যাভারতীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমাজের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা অর্জন করতে ইতিমধ্যে সক্ষম হয়েছে।
প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হবে ১৮ অক্টোবর। বরাক উপত্যকা সহ ডিমাহাসাও থেকে ১২২ জনের অধিক আচার্য-আচার্যা প্রশিক্ষণ নিতে শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের প্রধান আচার্য অঞ্জন গোস্বামী।
এছাড়াও বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ বিএড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রামেন্দ্র ভট্টাচার্য, সুহাসরঞ্জন দাস, সুবীরবরন রায়, যোগেন্দ্র সিং শিশোদিয়া, মহেশ ভাগবত প্রমুখ। সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে প্রত্যেক বক্তা।