জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৪ অক্টোবর :
শিক্ষাদানে আরোও জ্ঞান অর্জন হয়। শিক্ষকরা হচ্ছেন সমাজের দর্পণ। সমাজ গঠনে মুখ্য ভূমিকা ন্যস্ত থাকে শিক্ষকদের উপর। শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের যে শিক্ষা দান করেন, এর ফলে শুধু ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, সমাজও লাভবান হয়।
শুক্রবার করিমগঞ্জ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে আটদিন ব্যাপি আচার্য প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান করে এ কথা বলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রাজিবমোহন পন্থ।
নিজে একজন শিক্ষক হয়ে আচার্যদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে এসে ধন্য মনে করছেন বলে জানান উপাচার্য। কারণ এই সকল আচার্যরা এক একটি ছাত্র-ছাত্রীদের রত্ন গড়ে তুলবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থ আচার্য প্রশিক্ষণ বর্গে বৌদ্ধিক প্রদান করেন ৷ তিনি বর্ত্তমান পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে গ্রামীন শিক্ষার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ গ্রাম যোজনা ও গ্রামীণ উন্নয়ন, সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রামীন শিক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোকপাত করেন তিনি। বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আসবে এবং সদর্থক সমাজ গঠিত হবে৷

পরে শহরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এক পরিচয় সভায় মিলিত হন এবং সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পর মতবিনিময় হয়।
এদিন বিদ্যালয়ের এনসিসি ও ঘোষ বাহিনী সাদর অভিনন্দন জ্ঞাপন করে উপাচার্যকে বরণ করে। তিনি বলেন, সরস্বতী বিদ্যানিকেতন অসম তথা বরাক উপত্যকার শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক সুনাম করেছে। তাছাড়া বিদ্যাভারতী ভারতের শিক্ষাজগতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে বলে জানান।
এদিন উপাচার্যের সঙ্গে বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুল যাদব, এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস, সংগঠন মন্ত্রী মহেশ ভাগবত, সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের সভাপতি সুহাসরঞ্জন দাস, সম্পাদক সুবীরবরণ রায় সহ অন্যান্যরা৷