গণ আওয়াজ অনলাইন ডেক্স, ১৪ আগস্ট, ২০২২ : ভারত তাহলে সত্যি সত্যিই হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে? পণ্ডিতদের একটি দল ভারতের সংবিধানের একটি খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি করে নিয়েছেন। সংবিধানের খসরা ২০২৩ এর মাঘ মাসে মাঘ মেলায় আয়োজিত ‘ধর্ম সংসদে’ উপস্থাপন করারও কথা রয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত মাঘ মেলায়, ভারতকে নিজস্ব “সংবিধান” সহ ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ করার ধর্ম সংসদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়।
শাম্ভবী পীঠধীশ্বরের পৃষ্ঠপোষকতায় ৩০ জনের একটি দল এই ‘সংবিধানের’ খসড়া তৈরি করেন। বারাণসী-ভিত্তিক শঙ্করাচার্য পরিষদের সভাপতি স্বামী আনন্দ স্বরূপ নিজেই এই খবর সংবামাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানটি ৭৫০ পাতার হবে এবং এখন সংবিধানের বিন্যাস নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হবে। ধর্মীয় পণ্ডিত এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা এবং বিতর্কও অনুষ্ঠিত করা হবে।
তারপরই প্রয়াগরাজে ২০২৩-এ অনুষ্ঠিত হতে চলা মাঘ মেলায় অর্ধেক সংবিধান (প্রায় ৩০০ পাতা) প্রকাশ করা হবে।
স্বামী আনন্দ স্বরূপ জানান, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা, ভোটের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩২টি পৃষ্ঠা তৈরি করা হয়েছে।
হিন্দু রাষ্ট্রের এই সংবিধান অনুসারে, দেশের রাজধানী দিল্লির পরিবর্তে বারাণসীই হবে। এছাড়াও, কাশীতে (বারাণসী) একটি ‘ধর্ম সংসদ’ গড়ার প্রস্তাবও রয়েছে’ খসরাতে।
খসড়া প্রস্তুতকারী দলটিতে রয়েছেন শঙ্করাচার্য পরিষদের সভাপতি স্বামী আনন্দ স্বরূপ, হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণ সমিতির প্রধান কমলেশ্বর উপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিএন রেড্ডি, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আনন্দ বর্ধন, সনাতন ধর্মের পণ্ডিত চন্দ্রমণি মিশ্র এবং বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের সভাপতি অজয় সিং সহ আরও অনেক।
সংবিধানের কভার পাতায় ‘অখন্ড ভারতের’ একটি মানচিত্র রয়েছ, যে মানচিত্রে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমারের মতো ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দেশগুলোকে একীভূত করা হবে বলে দেখানো হবে।
সংবিধানের বিশদ বিবরণ দিতে গিয়ে স্বরূপ জানিয়েছেন, প্রতিটি বর্ণের লোকদের দেশে বসবাসের সুবিধা এবং নিরাপত্তা থাকবে, তবে অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষকে ভোট দেওয়ার অনুমতি থাকবে না। মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা ভোটাধিকার ছাড়া সাধারণ নাগরিকের ভোগ করার সমস্ত অধিকার থাকবে। ব্যবসা, চাকরি, শিক্ষা এবং যে কোনও সাধারণ নাগরিকের উপভোগ করা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তাদেরকে দেওয়া হবে। দেওয়া হবে না তাদেরকে শুধু ভোটাধিকার ব্যবহার করার অনুমতি।