শিলচর, ১৮ অক্টোবর : বার্মিজ সুপারির অবৈধ ব্যাবসা বন্ধ করার অজুহাতে বরাকের বৈধ সুপারি ব্যাবসায়ীদের হেনস্থা করছে সরকার, প্রশাসন।
বিডিএফ যুব ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত এই অভিযোগ এনে বলেন, গ্রাম বরাকের অর্থনীতিতে সুপারির অবদান উল্লেখযোগ্য। এখান থেকে সুপারি বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি হয়। সুগন্ধি পান মসলা থেকে শুরু করে বস্ত্র শিল্পসহ বিভিন্ন কাজে বরাকের সুপারির চাহিদা রয়েছে।
এটিকে নির্ভর করে যেমন স্থানীয় অর্থনৈতিক লেনদেন আবর্তিত হয়, তেমনি অনেক পরিবার জীবিকার জন্য এই পন্যের উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে বার্মিজ সুপারির অবৈধ পাচার বন্ধ করার নামে এই সামগ্রিক ব্যাবসার উপর যেভাবে প্রশাসনিক চাপ জারি রয়েছে তাঁতে সমস্ত বৈধ সুপারি ব্যাবসায়ীদের নাভিশ্বাস উঠছে। তাঁদের ব্যাবসা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বার্মিজ সুপারির নামে যেভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে, এটি কোন অবৈধ মাদক দ্রব্য। এছাড়া সুপারি ব্যাবসায়ের সাথে মাফিয়া, সিন্ডিকেট ইত্যাদি শব্দবন্ধনও ব্যাবহার করা হচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে সরকার এবং সরকারের প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে এদের দুস্কৃতিকারী সাজাতে বদ্ধপরিকর।
বরাকের অর্থনীতিকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংশ করার উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করেন কল্পার্ণব। তিনি এটাকে বরাক উপত্যকার প্রতি আরও একটা বঞ্চনা ও বৈষম্যের উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন।
কল্পার্ণব সুপারিকে কৃষিজাত পণ্যের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সুপারির উৎপাদন করছেন।
চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরকার এই সুপারিকে বাজারজাত করতে ব্যার্থ হয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক ঝামেলা সৃষ্টি করে বাঁধা দিচ্ছে।
সরকার যদি বার্মিজ সুপারির অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে চায়, তবে স্থানীয় সুপারির ব্যাবসায়ীদের জন্য আলেদা ট্রেড লাইসেন্স-এর ব্যবস্থা করতে পারে। এতে সরকার ট্যাক্স পাবে প্রশাসনিক জটিলতাও কমবে। কিন্তু স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের হেনস্থা করা বিডিএফ কোনভাবে মেনে নেবেনা বলে জানিয়ে দেন যুবফ্রন্টের নেতা কল্পার্ণব।