করিমগঞ্জ ২০ অক্টোবর : কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব সুরক্ষিতভাবে উদযাপন করতে করিমগঞ্জ জেলার ৫টি স্থানে ২২শে অক্টোবর, শনিবার অগ্নি সুরক্ষার মহড়া ও সচেতনতা অভিযানের আয়োজন করা হয়েছে।
করিমগঞ্জের অগ্নি ও জরুরী কালীন পরিসেবা স্টেশনের রেসপন্স টিম কমান্ডার জানিয়েছেন যে বিভিন্ন ভবনে ও বাজি পটকা ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা ও উদ্ধারের পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে জেলার পাঁচটি স্থানে এ ধরনের অগ্নি সুরক্ষার মহড়া ও সচেতনতা অভিযান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এতে শনিবার সকাল ৯ টায় বদরপুরে এমএস ট্রেডিঙ্গে, সকাল ১১ টায় নিলাম বাজারের জ্ঞান জ্যোতি বিদ্যাপীঠে, সকাল সাড়ে ১১ টায় রামকৃষ্ণনগরের বাদল চন্দ্রনাথ এম ভি স্কুল লক্ষীনগরে, দুপুর ১২ টায় পাথারকান্দির শাহী ফাউন্ডেশন আসিমগঞ্জে এবং ওইদিনই রাত ৭টায় করিমগঞ্জ শহরের এ এস টি সি বাস স্ট্যান্ডের বিপরীতে রুপম ড্রাগসের ভবনে এ ধরনের অগ্নি সুরক্ষার মহড়া ও সচেতনতা অভিযান অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে রেসপন্স টিম কমান্ডার বাজি পটকা ব্যবহারের ফলে যাতে কোন ধরনের অবাঞ্চিত অগ্নি সংযোগের দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রতিরোধী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে যে কোন ধরনের বাজি পটকা মজুত ও বিক্রির জন্য জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।
পাশাপাশি বাজি পটকা মজুত ও বিক্রির স্থানে অগ্নি সুরক্ষার সরঞ্জাম ফায়ার এক্সটিংগুইসার, বালি ভর্তি বালতি ও জলের বালতি রাখতে হবে।
এতে ব্যস্ত বাজার এলাকা, জনবহুল এলাকা, বাড়ি, হাসপাতাল, বাজি পটকার দোকান, রাস্তা, যানবাহন, পেট্রোল পাম্প, গ্যাস এজেন্সি ইত্যাদি স্থানে কোন ধরনের বাজি পটকা না পোড়াতে বা ফাটাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বাজি পটকা ব্যবহারের সময় কিছু বর্জনীয় ও করণীয় বিষয় জানানো হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের বাজি পটকা পোড়ানো স্থানে নেওয়া চলবে না। এবং বাচ্চাদের বাজি পটকায় অগ্নিসংযোগ করতে দেবেন না।

বিস্ফোরিত না হওয়া বাজি পটকা পুনরায় পোড়ানোর চেষ্টা করবেন না। আতশবাজি কখনও ঘরের ভেতরে বা পার্কিংয়ের স্থানে জ্বালাবেন না। কখনও যেখানে সেখানে আতশবাজি ছুড়ে ফেলবেন না অথবা একসাথে জড়ো করে জ্বালাবেন না।
রকেট, এক হাজারের শট এ ধরনের বাজি পটকা রাস্তা অথবা আবাসিক এলাকায় ব্যবহার করবেন না। করণীয় বিষয়ের মধ্যে থাকছে একটি জলভর্তি বালতি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স প্রস্তুত রাখুন।
বাজিপটকা ওপর ঝুকে অগ্নিসংযোগ করা থেকে বিরত থাকতে একটি লম্বা অগ্নিসংযোগকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করুন। সব সময় শিশুদের প্রতি ধ্যান রাখুন।
বাজিপটকা আতশবাজি পোড়ানোর জন্য একটি বড় খোলা স্থান ব্যবহার করুন। সব সময় ভাল মানের আতশবাজি ক্রয় করবেন। ব্যবহার করা আতশবাজি ফেলে দেওয়ার আগে একটি জলের বালতির মধ্যে নিমজ্জিত করুন। ছোট শিশুদের সব সময় ঘরের ভেতরে রাখবেন। সুরক্ষিত ভাবে কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব উদযাপন করতে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে করিমগঞ্জের অগ্নি ও জরুরী কালীন পরিষেবা স্টেশন থেকে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।