বিশ্বের প্রতিটি দেশে কম-বেশি কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। এই ফল প্রতিবেশী বাংলাদেশের জাতীয় ফল। তবে কাঁঠালের অনেক উন্নত জাত প্রধানত থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামে জন্মে। বাংলাদেশে বর্তমানে ভিয়েতনামের লাল কাঁঠালই খুব জনপ্রিয় ওঠেছে।
এর মধ্যে একটি হল ভিয়েতনামে উৎপাদিত আঠালো লাল কাঁঠাল। তবে এই কাঁঠাল অন্যান্য কাঁঠালের তুলনায় কিছুটা ছোট।
এই জাতের কাঁঠাল খুবই সুস্বাদু। তাই এই কাঁঠাল এতই জনপ্রিয় যে অন্যান্য জাতের কাঁঠালের তুলনায় এর দাম অনেক বেশি। এটি উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি। বারো মাস পাওয়া যায়।
আসামে পাওয়া কাঁঠাল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করে স্থানীয় কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারেন না। প্রতিবেশী বাংলাদেশ কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও নেপাল যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই খাজা, আদর্শ ও গালা নামে তিন ধরনের কাঁঠাল উৎপাদন হয়ে আসছে। বর্তমানে, বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দ্বারা কাঁঠালের দুটি উচ্চ জাত, ঝাড়ভা কাঠল-১ এবং ঘর্ভা-২ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
সমান্তরালভাবে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাইব্রিড জাতের কাঁঠাল উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামী লাল কাঁঠাল। যার ইংরেজি নাম, Gac Baby Jackfruit.
এই লাল কাঁঠাল কিভাবে রোপণ করবেন তা শিখুন :
এই লাল কাঁঠাল ছাদে বা ড্রামে লাগানো যায়। এগুলি উঁচু জায়গায়ও যেখানে বৃষ্টিপাত নেই, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এই কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
একইভাবে, আপনি যদি এই কাঁঠালগুলি ছাদে বা ড্রামে লাগান তবে আপনার একটি বড় ড্রাম নেওয়া উচিত। তারপর ভালো মাটি দিয়ে মাটি ভরাট করে কাঁঠালের চারা লাগান।
কাঁঠালের বীজ থেকে জেসমিনের চারা জন্মে, চারা ডাল থেকেও কাটা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন নার্সারি থেকে এই ভিয়েতনামী লাল কাঁঠালের চারা কিনতে পারেন। এগুলো সাধারণত শাওনের মাঝখানে লাগানো হয়।
একটি গাছ থেকে অন্য গাছে ১২ মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। উল্লেখ্য যে রোপণের পর এই গাছের প্রতিদিনের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। কাঁঠাল গাছে ফুল ফোটা থেকে পরিপক্কতা ও পাকা পর্যন্ত মোট ১২০ থেকে ১৫০ দিন সময় লাগে।