শিলচর,২৮ অক্টোবর : মিঞা মিউজিয়ামের পেছনে আন্তর্জাতিক মৌলবাদী শক্তি কাজ করছে। আসামে তাদের এই প্রচেষ্টা বার বার প্রমাণিত হয়েছে।
ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার উদ্দেশ্যে বার বার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশবিরোধী চক্র। মিয়া সংগঠনও ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার কাজ করছে।
এরা অসমীয়া জাতির বদন, এবং তাদের যারা সাপোর্ট করছে তাদেরকেও বদন হিসাবে ভবিষ্যতে আখ্যায়িত করা হবে।
শুক্রবার কাছাড় জেলায় মাইক্রো ফাইন্যান্সের ঋণ মকুবের চেক বন্টন অনুষ্ঠান শেষে মিঞা মিউজিয়াম নিয়ে এভাবেই সরব হন কাছাড় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া।
তিনি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মিঞা কোন জনগোষ্ঠী নয়, অনুপ্রবেশকারীর একটা শ্রেণী। তাদের কোনও সংস্কৃতি সভ্যতা নেই। অসমীয়া জাতিকে আগ্রাসন করছে এই মিঞা জাতি।
এদের বিরুদ্ধে মুখ না খোলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অসমীয়া সংস্কৃতি লাঙ্গল জুয়াল কেড়ে নিয়ে অসমীয়া সমাজকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এরা।
এদিন এর আগে গ্রামীন গরিব মহিলাদের ক্ষুদ্রঋণ মুকুব করে আর্থিক প্রেরণা এবং স্বস্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে কাছাড় জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো অসম মাইক্রো ফাইনান্স প্রেরণা এবং স্বস্তি প্রকল্পের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান।
রাজিব ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কাছাড় জেলার এক হাজার মহিলার হাতে চেক তুলে দিতে উপস্থিত ছিলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া।
চেক বিতরণের এই অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই, জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা, জেলা পরিষদ সভাপতি অমিতাভ রাই, মঞ্জুল দেব, রাজদীপ গোয়ালা ,বিজেপির জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় প্রমুখ।
সভায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে জয়ন্ত মল্ল জানান পর্যায়ক্রমে কাছাড় জেলায় ৩৩৩১ মহিলার ক্ষুদ্র ঋণ মুকুব করা হবে।
দ্বিতীয়বারের এই ঋণ প্রদানে কাছাড় জেলায় প্রায় ৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কিছুদিনের মধ্যে তৃতীয় ঋণ মুকুব পর্ব শুরু হবে। সরকার দুস্থ গ্রামীণ মহিলাদের ব্যাংক ঋণ মকুব করার চিন্তা করেছে। এই প্রকল্পে সরকার রাজ্যে আট হাজার কোটি টাকার ঋণ মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসামকে এগিয়ে নিতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।