জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ৩০ অক্টোবর : বসুন্ধরা সেবা সংস্থার উদ্যোগে করিমগঞ্জে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ২৫২ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেলে দুই বিভাগে মিলে মোট ছয় জনকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। স্থানাধিকারীদেরকে সার্টিফিকেট, মোমেন্ট এবং মেডেল দেওয়া হয়।
এছাড়া অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট এবং মেডেল দেওয়া হয়। সংস্থার সভাপতি পুলক দত্ত এবং সম্পাদক সুরজিৎ দাস বলেছেন, ভবিষ্যতেও এরকমের কাজ অব্যাহত থাকবে। এর জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
করিমগঞ্জে বসুন্ধরা সেবা সংস্থা আত্মপ্রকাশ করে গত পাঁচ জুলাই। এরমধ্যে অনেক সমাজসেবামূলক কাজ করা হয়েছে সংস্থার উদ্যোগে।
দীপাবলি উপলক্ষে রবিবার সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে এক বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে মোট ২৫২ একজন অংশগ্রহণ করে।
প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও অনেকে বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় যোগদান করে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় মোট দুই বিভাগে। ‘এ’ বিভাগে প্রথম হয়েছে উদিতা বণিক, দ্বিতীয় রিমশা দাস এবং তৃতীয় তনুস্কা দাস।
‘বি’ বিভাগে প্রথম হয়েছে গৌরব রায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে রত্নদীপ নাথ এবং সুস্মিতা সিনহা।
এই ছয়জনকে মোমেন্ট, মেডেল এবং সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন গৌতম চক্রবর্তী, পল্লবী দেবরায়, মনীষা রায়।
বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসদন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তনুশ্রী ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী লালমোহন দাস। অতিথি এবং সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রত্যেকের হাতে সার্টিফিকেট এবং উপহার তুলে দেন।
বসুন্ধরা সেবা সংস্থার সভাপতি পুলক দত্ত এবং সম্পাদক সুরজিৎ দাস বলেছেন, সমাজ সেবামূলক কাজ করার জন্য গত ৫ জুলাই আত্মপ্রকাশ করে সংস্থা।
এরমধ্যে রক্তদান শিবির, বন্যার্তদের সাহায্য ইত্যাদি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহবানে ৫ জন টিবি রোগীকে আগামী ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমাসে তাঁদেরকে প্রোটিন আহার তুলে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুলক এবং সুরজিৎ জানিয়েছেন। এর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন বসুন্ধরা সেবা সংস্থার সভাপতি এবং সম্পাদক।