আহমেদাবাদ, ১ নবভম্বর : মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট বলা বয়েছে গুজরাতের দুই জেলা মেহসানা ও আনন্দে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
যদিও এক্ষেত্রে অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন, খ্রিষ্টান, পার্সি, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদেরই এই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই ঘোষণা গুজরাট ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চমক বলে রাজনৈতিক তথ্যবিজ্ঞরা মনে করছেন।
উল্লেখ্য, গুজরাতে দুই জেলায় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছেন ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের সকলকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
তবে ২০১৯-এর বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পরিবর্তে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পড়শি দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মোদি সরকারের নয়া সংশোধিত আইনের অধীনে এখনও বিধি-নিয়মই ঠিক হয়নি। তাই তার অধীনে এই মুহূর্তে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয় সরকারের পক্ষে।
সংখ্যালঘুদের ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় এবং ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব বিধি অনুযায়ী, ভারতের স্বাভাবিক নাগরিক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করার অনুমতি প্রদান করা হবে। তার জন্য অনলাইন আবেদন জানাতে হবে। জেলাস্তরে সেগুলি যাচাই করা হবে প্রথমে। সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও সরকারি ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ভারতের স্বাভাবিক নাগরিক হিসেবে শংসাপত্র প্রদান করা হবে ওই সব মানুষকে।