নয়াদিল্লি, ৩ নভেম্বর : গোটা দেশের চোখ মোদী-শাহ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ২০২২ এর মধ্যেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত ধরে নিয়ে আগে থেকেই মাঠ কাঁপাতে শুরু করে দেন। এবার সেই জল্পনাই সত্যি প্রমান করলো নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার গুজরাটে দুই দফায় নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন।
প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ৫ ডিসেম্বর। ফলা ফল ভোট গণনা করা হবে ৮ ডিসেম্বর। রাজীব কুমার জানান, গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের ভোট গণনা একই দিনে অনুষ্ঠিত করা হবে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সময়সূচী অনুযায়ী, গেজেট বিজ্ঞপ্তি আগামী ৫ নভেম্বর জারি করা হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৪ নভেম্বর এবং প্রার্থীরা ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন।
এদিকে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজীব কুমার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ আগামী বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
আবহাওয়াসহ বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইভিএম কারচুপি অভিযোগ নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, কর্ম এবং তার ফলাফল কথার চেয়ে বেশি জোরে কথা বলে।
অনেক সময় কমিশনের সমালোচক দলগুলোও নির্বাচনে বিস্ময়কর ফলাফল পেয়েছে।
এখন পর্যন্ত গুজরাটের যে চিত্র ফুটে উঠেছে এই নির্বাচনে বিজেপি, আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে।
নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার আগেই প্রায় সব রাজনৈতিক দলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৫ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি, তবে মরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল।
এদিকে, আপ গত বছর প্রথমবারের মতো দিল্লির বাইরে পা রাখে পাঞ্জাবে। ক্ষমতায় আসার পর এখন পাখির চোখ গুজরাটের দিকে রেখেছে আপ। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গুজরাটের ক্ষমতায় না এলেও ‘হাত’ ছাপ রাখতে পেরেছিল বিজেপি। এখন সবার চোখ ডিসেম্বরে গুজরাট নির্বাচনের সমীকরণের দিকে।