সোমবার থেকেই শালচাপড়া জিপির ঘরে ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাসের হিতাধিকারির তালিকাভুক্তি শুরু করা হয়েছে
আসাম, শালচাপড়া, ১৩ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জিওটেক থেকে বঞ্চিত বৃহত্তর শালচাপড়া জিপির জনগণ সোমবার শালচাপড়া খণ্ড উন্নয়ন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতিটি গরীব মানুষের কাচা ঘর পাকা এবং টয়লেট পাকা করে দেওয়া হবে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার গরীব মানুষের কাচা ঘর এবং টয়লেট পাকা করার কাজে অর্থ বরাদ্ধ করলেও বাস্তবিক অর্থে এই অর্থ সরকারী আমলা এবং শাসক দলের নেতাকর্মীদের পকেট ভারি করছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত হয়ে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ এনেই সোমবার শালচাপড়ার বৃহৎ সংখ্যক মানুষ শালচাপড়া খণ্ড উন্নয়ন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
তাদের অভিযোগ, প্রকৃত হিতাধিকারি হওয়া সত্বেও সরকারি আমলা এবং শাসক দলের নেতাকর্মীদের অর্থ লোপাটের কারনেই ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রধানমন্ত্রী আবাসের জিওটেক তালিকা থেকে তারা বঞ্চিত।

এদিন আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোব্ধ জনতা। তারা বলেন আসামে বর্তমানে সিন্ডিকেট প্রশাসন চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত।
প্রশাসনিক কর্তারা সরকারী চাকরীর অমর্যাদা করে সাধারণ মানুষকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে চামচাগিরির দায়িত্ব পালন করছেন।
তারা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমে অনেকবার এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এবং জেলা শাসককে স্মারকপত্র দিয়ে অবগত করা হয়েছে, কিন্তু কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক কর্তাদের নৈতিকতার পরিচয় নিয়ে অনৈতিকভাবে দালানি-চামচাগিরি করার জন্য লজ্জা এবং ধিক্কার জানান।
বিক্ষোব্ধ জনতার ক্ষোভ আচ করতে পেরে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গরহনে শালচাপড়ার খন্ড উন্নয়নের বর্তমান আধিকারিক সুদীপ গগৈ নিজের তত্বাবধানে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে কমিটি গঠন করতে বাধ্য হন।

এই কমিটি আজ সোমবার থেকেই শালচাপড়া জিপির প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেছে। শালচাপড়ার খন্ড উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ গগৈ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জিওটেক থেকে বঞ্চিত প্রকৃত হিতাধিকারির তালিকা তৈরি করে পরবর্তী তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা হবে।