৫ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে হস্তান্তর না করলে আন্দোলনের হুংকার জহিরের
হাইলাকান্দি প্রতিনিধি, ২৪ ডিসেম্বর : অসমে বিজেপি সরকার আর হাইলাকান্দিতে এআইইউডিএফের সরকার এই উক্তিটি আমার নয়, এটা হচ্ছে কাটলিছড়ার বিধায়কের বললেন রাইজর দলের জহির উদ্দিন লস্কর।
জহির বলেন, কাটলিছড়া সমষ্টির দুর্ণীতির ভূয়া তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করে আমি যদি বিভ্রান্ত ছড়াই তাহলে এই অভিযোগের দায়ে পূর্ত বিভাগ আমার উপর মামলা করুক।
তিনি কাটলিছড়ার বিধায়ককে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সৎ সাহস থাকলে ও আমার উপর মামলা করে দেখান।
এদিকে এআইইউডিএফ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাকে ‘সকাল-বিকাল’ নেতা বলে কটাক্ষ করেন রাইজর দলের জহির উদ্দিন লস্কর।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে কাটলিছড়ার বিধায়কের দূর্ণীতির পর্দা ফাঁস করতেই বিধায়ক এই ‘সকাল-বিকাল’ নেতা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দূর্ণীতি ঢাকার চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার হাইলাকান্দিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সবনম টেড্রাস ও কমলা গগৈর দূর্ণীতির আশ্রয়ে চলা কাজকর্মে প্রচণ্ড ক্ষোভ ঝাঁড়েন জহির।
তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
জহির আগামী ৫ জানুয়ারি সময়সীমা বেঁধে হুংকার দিয়ে বলেন, এই সময়ের ভিতরে কাটলিছড়া সমষ্টির ৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজের তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তর করা না হলে ভয়াবহ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিকে বিগত সময়ে কাটলিছড়ার উন্নয়ন মূলক কাজে দূর্ণীতির অভিযোগ এনে সরব হয়েছিলেন বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর। কিন্তু এখন কেন এবিষয়ে সরব হচ্ছেন না? এ প্রশ্ন তুলেন জহির।
বিভিন্ন কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের সাথে বিধায়ক বুঝাপড়ার মাধ্যমে কমিশনরাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেন একসময়ের সুজামের ছায়াসঙ্গী জহির উদ্দিন।
কাটলিছড়ার বিধায়ক প্রায়ই বলেন যে বিগত ত্রিশ বছরে সমষ্টিতে উন্নয়ন মূলক যা কাজ হয়নি তাঁর কার্যকালে তা হচ্ছে ! উন্নয়নের জোয়ার বইছে কাটলিছড়া বিধানসভা এলাকায়।
বিধায়কের এই দাবিকে চ্যেলেঞ্জ করেন জহির। বলেন, উন্নয়ন তো হয়েছে ঠিকই তবে জনগণের নয়, বিধায়কের। সরকারি অর্থে বিধায়কের বাড়ির পথঘাট সহ বিভিন্ন কাজ হয়েছে। বাড়ছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। তদন্ত হলে ভয়াবহ দূর্ণীতির পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে বলে রাইজর দলের নেতা জহির বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।