নয়া দিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার : অবশেষে শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি যুদ্ধবিমান বহন করতেও সক্ষম রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত।
কিন্তু বৃহত্তম এই রণতরীর যাত্রা শুরু হতেই তাঁকে ঘিরে কংরেস-বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেসের দাবী দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রণতরীর কীর্তিত্ব শুধুমাত্র মোদী সরকারের একার নয়, আগের সরকারেরও সমান কৃতিত্ব রয়েছে।
গতকাল কোচির শিপইয়ার্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও টুইট করে ভারতীয় নৌসেনাকে এই বিশেষ দিনের সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
রাহুল গান্ধী টুইট-এ লেখেন, দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসাবেই আজ আইএনএস বিক্রান্তের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
এদিকে আইএনএস বিক্রান্তের জন্য মোদী সরকারের সম্পূর্ণ কৃতিত্বের আস্পালন নিয়েই আপত্তি তোলেন কংগ্রেসের সাধারণ সচিব জয়রাম রমেশ।
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে প্রত্যেকটি সরকারের মিলিত উদ্যোগের কারণেই আজ আইএনএস বিক্রান্ত তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় আসল বিক্রান্ত ব্রিটেন থেকে আনা হয়েছিল, যার সুফলও পাওয়া গেছে।
কংগ্রেস সাংসদের জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, প্রথম আইএনএস বিক্রান্ত ব্রিটেন থেকে আমদানি করা হলেও, ২.০ আইএনএস বিক্রান্ত দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হয়েছে।
দুটি রণতরীর মধ্যে পার্থক্য এটাই যে নতুন রণতরীটি ভারতে তৈরি হয়েছে।
যুদ্ধবিমানবাহী এই রণতরী তৈরির জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের সময়কাল থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, ইউপিএ সরকারের আমলে প্রকল্পের কাজে দেরী হয়েছিল।
কেন্দ্রের দাবী, কংগ্রেসের কারণেই আইএনএস বিক্রান্ত জন্য ৭৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ইউপিএ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একে অ্যান্টনি সংসদে জানিয়েছিলেন আইএনএস বিক্রান্ত তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি তৈরির মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কিন্তু মোদী সরকারের আমলেই ভারত ২০২২ সালে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করেছে এবং নিজস্ব যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীও তৈরি করেছে। সুত্র টিভি-৯